রোববার রাতে ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজকুঞ্জরা গ্রামের সাতানীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কিশোরের নাম শাহাদাত হোসেন। ওই ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞার ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহতের মা আলেয়া বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বিকেলে ফুটবল খেলতে যাচ্ছিল শাহাদাত। প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিন মানিক ও জসিম উদ্দিনের বাড়ির উঠান দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়ে সে। সরকারি রাস্তায় হাঁটতে বাধা নেই বলায় গিয়াস ও জসিম লাঠি দিয়ে শাহাদাতের মাথায় আঘাত করে। এক পর্যায়ে জসিমের স্ত্রী আছমা বেগম, ছেলে তুষার, মানিকের স্ত্রী আরজু বেগমসহ অজ্ঞাত কয়েকজন ব্লেড দিয়ে তার কান ও হাতের রগ কেটে দেয়।
এদিকে ছেলের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন শাহাদাতের মা আলেয়া বেগম। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘোপাল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে, পরে উপজেলা সদরে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফেনীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়।
অভিযুক্ত জসিমের স্ত্রী আছমা দাবি করেন, লকডাউনে শাহাদাত ২০-৩০ জন নিয়ে তাদের ঘরের পেছন দিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্বামী ও দেবর তাদের বাধা দেয়। এতে শাহাদাত ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে শাহাদাত পাকা ঘরের সঙ্গে লেগে আহত হয়। শাহাদাতের সঙ্গে থাকা অন্যদের আঘাতে আমার পরিবারের সদস্যরাও আহত হয়েছেন।
ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহীন মিয়া বলেন, উভয় পক্ষই তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।