জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার পথে মানুষজন তীব্র যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে রোববারও ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে এই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী সকল যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। দীর্ঘসময় যানজটে আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষজন। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের কষ্ট চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থেকে যাত্রীরা মহাসড়কেই টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাটিয়াপাড়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত অন্তত ১৫ থেকে ২০টি পয়েন্টে মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে যাত্রীরা। তার আগে শনিবার রাতে মহাসড়কের রসুলপুর এলাকায় যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে। এতে মোতালেব নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, বৃষ্টিপাত ও এলেঙ্গায় দুই লেনের সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় এখানে গাড়ির গতি কমে আসে। অপরদিকে যানবাহনের বাড়তি চাপ এবং চালকদের প্রতিযোগিতা ও খেয়াল খুশিমত গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিনভর থেমে গাড়ি চলাচল করেছে। শনিবার ভোর থেকে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর, দেউহাটা, মির্জাপুর, কাদিমধল্লা, নাটিয়াপাড়া, করটিয়া টাঙ্গাইল শহর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, রসুলপুর ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে হাজার গাড়ি আটকে পড়েছে।
আশেকপুর শহর বাইপাসে যানজটে আটকে পড়া যাত্রীরা জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে করটিয়া এসে যানজটে আটকা পড়েছি। এখন সকাল ৯টা। এই সাত ঘণ্টা যানজটে আটকা রয়েছি। কখন রংপুরে যাব আল্লাহই জানেন।
গাইবন্ধাগামী প্রাইভেট কারের এক নারী যাত্রী ৪/৫ ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে রাবনা বাইপাসে পুলিশবক্সে এনে বসিয়ে সুস্থ করা হয়।
এদিকে রোববার বেলা ২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে। গাড়ি চলছে ধীরগতিতে।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে গাড়ি টানতে না পারায় আমাদের এখানে যানবাহন আটকে থাকে। সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি টানতে না পারায় শনিবার ভোর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ থেকে ৯ বার টোলপ্লাজা বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ। কারণ সেতুর ওপর শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। এ কারণে টোলপ্লাজা বন্ধ রাখতে হয়। ফলে সেতুর পূর্বপ্রান্তেও ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে ১২টার পর থেকে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। বিকেলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।