জুমবাংলা ডেস্ক : হিমালয়ের কোল ঘেঁষে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাস সারা দেশে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বুধবার দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোঃ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা আবার ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
আগামী ৯-১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার এই প্রবণতা থাকতে পারে।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসায় গতকাল মঙ্গলবার থেকেই উত্তরের জেলা নীলফামারীতে ছিল শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। তাপমাত্রা আরো কমায় উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কোনো কোনো জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে এই ঘন কুয়াশা। এতে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত। ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশে দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, আগের দিনের তুলনায় গতকাল সারা দেশে তাপমাত্রা কমেছে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় নীলফামারীর সৈয়দপুরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের দিনের তুলনায় কমেছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে উত্তরাঞ্চলে হাড়কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয় ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটা জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যায় তাদের। ঘন কুয়াশায় কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল করেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা জানান, চলতি শীত মৌসুমে সকাল থেকে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগী বেড়েছে। বিশেষ করে হাসপাতালে বহির্বিভাগে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভিড় দেখা গেছে।
জেলার ছয় উপজেলায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরো বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।