জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অত্যধিক গাড়ির চাপের কারণে খুব ধীরগতিতে চলছে যাত্রীবাহী গাড়ি। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর হঠাৎ গাড়ি চলাচল শুরু হলেও তার তা অল্প সময়ের জন্য। ভয়াবহ এই যানজট টাঙ্গাইল ছেড়েও বগুড়ার শেরপুরে গিয়ে ঠেকেছে। এর ফলে নাকাল হয়ে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ।
ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ ও সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি যানবাহন চলাচল করার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশের মহাসড়কেও যানবাহন চলেছে থেমে থেমে।
বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার যানজট। টাঙ্গাইল শহর বাইপাসে যানজটে আটকে থাকা বাসের চালক রফিক জানান, রাত ১১টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সকাল আট ঘণ্টায় টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছেন। তারপর আর আগাতে পারছেন না।
গরমের কারণে যানজটে আটকে পড়া অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রংপুরগামী যাত্রী আশিক বলেন, প্রতি ঈদে এভাবে যানজটে দুর্ভোগের কারণে ঈদের আনন্দ ঠিকমতো উপভোগ করতে পারেন না।
রংপুরের পীরগঞ্জ যাওয়ার জন্য গতকাল বিকাল চারটায় চান্দুরায় বিআরটিসি পরিবহনের বাসে উঠেছেন বেসরকারি একটি কোম্পানির চাকরিজীবী আব্দুল মাজেদ সরকার। গতকাল বিকাল চারটায় বাসে উঠে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে ১৫ ঘণ্টা। এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে আব্দুল মাজেদ লিখেছেন, ‘যানজটে ১৫ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ। এখনো বাড়ি যাইতে পারি নাই। দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ।’
সাধারণত গাড়ি ঠিকভাবে চললে ঢাকার গাবতলি থেকে সিরাজগঞ্জ ফুড গার্ডেনে যেতে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগে। সেখানে যানজটে আটকা পড়ে সেখানে পৌঁছতে সময় লাগছে ১৫ ঘণ্টা।
এস আর ট্রাভেলসের বাসের যাত্রী রেজাউল বলেন, ‘ধৈর্যের একটা সীমা থাকে। বাস যেভাবে আটকে আছে তাতে মনে হচ্ছে না ছাড়বে। জানি না কতক্ষণ নাগাদ বাড়ি পৌঁছতে পারব।’
এদিকে যানজট নিরসন ও যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। কিন্তু মহাসড়কে যাত্রীরাহী গাড়ির সঙ্গে পশুবাহী যানবাহনের সংখ্যা যোগ হওয়ায় যানজট নিরসনে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।