আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে দেশে প্রবেশ ও চলাফেরায় মাত্রাতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করায় উত্তর কোরিয়ায় নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন। তাদের সকল কূটনীতিক এরই মধ্যে উক্তর কোরিয়া ত্যাগ করেছেন।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই নিজেদের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত কোনো আক্রান্তের খবরও পাওয়া যায়নি দেশটি থেকে। অথচ তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন থেকেই গত বছরের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি।
তবে পিয়ংইয়ংয়ে দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্তটি আপাতকালীন বলে উল্লেখ ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র –“দেশটিতে প্রবেশের বিধিনিষেধের কারণে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাফেরা এবং দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ায় নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কলিন ক্রুকস টুইটারে লিখেছেন, “পিয়ংইয়ংয়ে ব্রিটিশ দূতাবাস ২৭ মে আপাতকালীন বন্ধ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সকল কূটনীতিক উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করেছেন।”
কঠিন পরিস্থিতিতেও খোলা রয়েছে উত্তর কোরিয়ায় সুইডিশ দূতাবাস। ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কলিন ক্রুকস টুইটে তাদের জবাব, তারা তাকে এবং তার দলকে মিস করবে- “আশা করি খুব দ্রুত তারা ফিরে আসতে পারবে।”
এনকে নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ কুটনীতিকরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বুধবার চীনে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুতই পিয়ংইয়ংয়ে কূটনীতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই সকল আবাসিক বিদেশিদের ওপর কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা জারি করে উত্তর কোরিয়া। নিজেদের আবাসস্থলের আঙিনায়ও বিদেশিদের লকডাউন দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। আরোপ করে কঠোর কোয়ারেন্টাইন শর্ত। এসব বিধিনিষেধকে ‘নৈতিক নিষ্পেষণ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন পিয়ংইয়ংয়ে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মাতসেগোরা।
এরপর কূটনীতিক ও কিছু বিদেশির ওপর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে মার্চের মধ্যে দেশ ছাড়ার অনুমতিও দেয় উত্তর কোরিয়া। এই সময়ে জার্মানি ও ফ্রান্সসহ অনেক দূতাবাস পিয়ংইয়ংয়ে তাদের কার্যক্রম কমিয়ে আনে। তবে এখনো শতাধিক বিদেশি দেশটিতে অবস্থান করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।