ভাবুন তো একদিন সকালবেলা খবর পেলেন আমাজন বন থেকে সব গাছ হারিয়ে গেছে। কিংবা খোঁজ পেলেন উত্তর মেরুর আর্কটিক সাগর বরফশূন্য হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই আতঙ্ক ছড়াবে। এমনই এক শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। যে হারে আর্কটিক সাগরের বরফ গলছে, সেই হিসেবে খুব দ্রুত আমরা বরফশূন্য আর্কটিক বা উত্তর মেরু দেখতে পাব। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে দেখছেন, ২০৩০ সালে আর্কটিক সমুদ্রের বিশাল অংশের বরফ গলে যাবে। নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এসব তথ্য বলা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করে বরফশূন্য আর্কটিক দেখা যাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী আলেকজান্দ্রা জ্যান জানিয়েছেন, বরফশূন্য আর্কটিকে ভিন্ন ধরনের আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাবে।
বরফশূন্যতা পৃথিবীর জলবায়ু ও পরিবেশকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে উত্তর মেরুর আর্কটিক সাগর প্রথমবারের মতো পুরোপুরি বরফশূন্য দেখা যাবে। উত্তর মেরুর প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্য মৌলিকভাবে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে সমুদ্রের বরফ ও তুষার গলে যাচ্ছে।
সাধারণত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু উষ্ণ হচ্ছে। এতে আর্কটিক সমুদ্রের বরফ প্রতি দশকে ১২ শতাংশের মতো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে আর্কটিক সাগরের সর্বনিম্ন বরফ দেখা গেছে। ১৯৭৮ সালের পরে এ বছর রেকর্ড সর্বনিম্ন বরফ দেখা যায়। এ বছর সর্বনিম্ন বরফের আকার ছিল ৪ দশমিক ২৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত।
প্রসঙ্গত, বরফশূন্য আর্কটিক মানে সাগরে কোনো বরফ থাকবে না, তা নয়। সমুদ্রে বরফের আকার এক মিলিয়ন বর্গকিলোমিটারের কম থাকলে আর্কটিককে বরফমুক্ত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর্কটিক সমুদ্রের বরফ পরিবর্তনের পূর্বাভাস থেকে বলা বলা হচ্ছে, ২০২৭ সালে এক দিনের জন্য সমুদ্র বরফমুক্ত অবস্থায় দেখা যেতে পারে। আর প্রথম বরফমুক্ত মাস দেখা যেতে পারে ২০৩০ সালের মধ্যেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।