উত্তর বা আর্টিক সাগরের একটি বড় অংশ বরফে ঢাকা থাকে। তবে নাসার একটি গবেষণায় জানানো হয় যে, প্রত্যেক বছর ১৩ শতাংশ করে উত্তর সাগরের বরফ গলতে শুরু করছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে বা ২১০০ সালের মধ্যে সেখানে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে চলাচলের জন্য ভালো পথ তৈরি হয়ে যাবে।
এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রীষ্মকালেও উত্তর সাগরের অধিকাংশ অঞ্চল বরফে ঢাকা থাকতো। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। ১৮৪৫ সালে ব্রিটেনের একটি ভয়াবহ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল উত্তর সাগরে। বরফে আটকে ওই জাহাজের ১২৯ জন সদস্যের সবাই মারা গিয়েছিল।
প্রতি গ্রীষ্মকালে অন্তত কয়েক মাসের জন্য এই পথটি জাহাজ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। জাহাজ চলাচলের জন্য আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হবে যদি এখানে পথ তৈরি করা যায়। তবে এখানে জাহাজ চলাচলের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
যেমন এখানে শক্ত বরফের ছোট ছোট অনেক দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপের মধ্যে শ্বেত ভালুক সহ বিভিন্ন প্রাণী বাস করে থাকে। আর এখানে গভীর সমুদ্র বন্দরের বড়ই অভাব। পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রমের সীমাবদ্ধতা তো আছেই।
এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে পানামা খাল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু উত্তর সাগরের হয়ে বাণিজ্যিক পথ ব্যবহার করা গেলে অনেক অর্থ এবং সময় সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
এশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে দ্রুত এবং কম সময়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল সম্ভব হবে। পাশাপাশি সুয়েজ খাল বা পানমা খালের উপর নির্ভরতা কমে যাবে। এ বিষয়টি নিয়ে চীন বেশ আগ্রহী। যোগাযোগ রক্ষা করা এবং বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে তারা বেশি সুবিধা পাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্রমে উত্তর-পশ্চিম গোলার্ধের বরফের মাঝে খোলা পানির জায়গার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ভবিষ্যতে মালামাল পরিবহনে এ পথটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।