একটা সময় ইউরোপকে উদার গণতন্ত্রের দুর্গ বলা হতো। কিন্তু বর্তমানে ফ্রান্স, জার্মানি আর সুইডেনে উগ্র ডানপন্থী দলগুলো শক্তিশালী অবস্থানে আছে। সর্বশেষ ইতালিতে জর্জিয়া মেলোনি দেশটির নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছেন। একজন উগ্র ডানপন্থী এবং ফ্যাসিবাদী চরিত্র হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে।
সুইডেনে উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল ’সুইডেন ডেমোক্রেস’ দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে আছে। সুইডেনের ঘটনার পাশাপাশি ইতালিতে জর্জিয়া মেলনির বিজয় সবাইকে বিস্মিত করেছে।
ইউরোপে উগ্র ডানপন্থী দলগুলোর উত্থানের সর্বশেষ নজির দেখা গেল ইতালিতে। নব্য নাৎসিবাদী এবং ফ্যাসিবাদী দল এত শক্তিশালী অবস্থানে যাওয়ার পরেও উদারবাদী এবং গণতান্ত্রিক সমাজের পক্ষ থেকে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা না যাওয়ায় মনে হচ্ছে তাদের ক্ষমতায় আসা নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই। সুইডেন ও ইতলিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন হয়েছে। ভোটাররা ভোট দিয়ে এসব দলকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে।
মেলেনি বলেন যে, ব্রাদারস অফ ইতালি ফ্যাসিবাদী কোন রাজনৈতিক দল নয়। আমরা মধ্যমপন্থায় বিশ্বাস করি। মারিও দ্রাঘি যেখানে শেষ করেছেন আমরা সেখান থেকে কার্যক্রম শুরু করব।
তবে অনেকেই মনে করেন যে ইতালির এ সরকার এক বা দুই বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। মেলোনি ইচ্ছা করলেও ফ্যাসিবাদী আচরণ করতে পারবে না। তাকে বাধ্য হয়েই মধ্যমপন্থায় যেতে হবে।
জয়লাভ করার পর মেলোনি বলেন যে, তার দলকে নিয়ে ভয় বা আতঙ্কের কিছু নেই। তিনি ইতালিতে একতার সঞ্জয় করবেন। যারা ভোট দিয়েছে বা দেয়নি সবার জন্যই তার দল কাজ করবে।
উগ্র ডানপন্থী এবং ফ্যাসিবাদী দলগুলো শক্তিশালী অবস্থানে আসার মূল কারণ হচ্ছে ইউরোপে জীবনমানের কোন উন্নতি না হওয়া। এতে করে জনগণ বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হচ্ছেন। বছর এর পর বছর ধরে যে দলগুলো আছে তারা ইউরোপের উন্নয়নে তেমন কোন কাজ করতে পারেনি। এজন্য ইউরোপের জনগণ অনেক ক্ষুব্ধ।
তবে মুসলিম, অভিবাসী এবং সংখ্যালঘু জনগণ ইউরোপে আরো খারাপ অবস্থার শিকার হতে পারে । কেননা এসব রাজনৈতিক দল ইসলাম এবং অভিবাসন বিরোধিতাকে সমর্থন করে এবং কট্টর জাতীয়তাবাদকে লালন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।