জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী কালাকুমা গ্রামের একটি ফসলি জমির মাটির নিচ থেকে উদ্ধারকৃত গোলা সদৃশ্য বস্তুটি ছিল ১২০ এমএম মর্টারের গোলা।
বুধবার (১০ মার্চ) বিকেল ৫টায় উদ্ধারকৃত গোলাটি নিরাপদ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৯/১০দিন আগে নদীতে পাথর তুলতে গিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাকুমা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন দামী ধাতব পদার্থ মনে করে বোমাটি নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে অপরিচিত এই বস্তুটিকে ভৌতিক কিছু ভেবে বাড়ির সামনের একটি ফসলি জমিতে পুঁতে রাখে।
বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়রা রামচন্দ্রকুড়া বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়।
খবর পেয়ে বিজিবি জোয়ানরা মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে মাটি খুঁড়ে নিশ্চিত হন এটা একটি বোমা হতে পারে। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এলাকাটি কর্ডন করে রাখেন এবং সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক দেখা দিলেও প্রশাসন এগিয়ে আসায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঘাটাইল ক্যাম্পের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের মেজর নাহিদ শারমিনের নেতৃত্বে একটি দল এসে বিকেল ৫টার সময় বোমাটি নিরাপদ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করেন। এসময় নিরাপত্তার স্বার্থে লোকজনকে বোমা বিস্ফোরণের এলাকা থেকে ছয়শ মিটার দূরত্বে নিরাপদে সরিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনী। বিজিবি ও পুলিশ এলাকাটি ঘেরাও করে রাখে। গোলাটি বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সেনাবাহিনী জানায়, বোমাটি ১৯৬৭ সালের তৈরি। ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অবিস্ফোরিত গোলা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।