আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেক্সিকো সিটিতেই ছিল প্রাচীন শহর আজটেকের রাজধানী। সেখানে নতুন একটি বিমানবন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল মেক্সিকো সরকার। তবে দেশটির জনগণ এ বিমানবন্দরের বিপক্ষে দাঁড়ায়।
ডয়চে ভেলে অনলাইন জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েটোর বিতর্কিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হিসেবে আলোচনায় আসে রাজধানী মেক্সিকো সিটির নতুন বিমানবন্দর প্রকল্প।
রাজধানীর পূর্ব দিকে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর এলাকা ঠিক করা হয়েছিল বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য। প্রেসিডেন্ট নিয়েটো ব্রিটিশ স্থপতি নর্মান ফস্টারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এটি নির্মাণের।
আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৩শ’ কোটি মার্কিন ডলার। বছরে সাত কোটি যাত্রী যাতায়াত করার কথা ছিল বিমানবন্দরটি দিয়ে।
তবে বর্তমান সরকার প্রাচীন লেক টেক্সকোকো পুনরুদ্ধার করে বিশাল উদ্যান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে অবরুদ্ধ আছে স্থানটি।
এলাকাটিতেই ছিল প্রাচীন শহর আজটেকের রাজধানী। বর্তমান প্রকল্পে সেই প্রাচীন শহরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়াস ম্যানুয়েল লোপেজ দায়িত্ব নেয়ার পর বিমানবন্দরের ব্যাপারে গণভোট হয়।
নিয়েটোর এই ‘উচ্চাভিলাষী উন্নয়নের’ বিপক্ষে দাঁড়ায় জনগণ। মাটির নিচে পানির স্তর রুখতে প্রচুর অর্থ খরচের কারণে গণভোটে বাতিল হয় বিমানবন্দর নির্মাণের ওই প্রকল্প।
অনেক দূর এগিয়েও বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ। এখন কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের কাঠামো।
বিমানবন্দরের ২০ ভাগ কাজ হয়েছিল। চুক্তি হয়েছিল ৬০০টি। কাজ শেষ না হলেও খরচ হয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যার ঘটনা প্রমাণ করেছে লেকের পানি ‘ড্রেইনিং’ করে তেমন কোনো লাভ হয়নি।
তবে ষোড়শ শতাব্দীতে স্প্যানিশ উপনিবেশের আগে টেক্সকোকো লেক যে অবস্থায় ছিল তার সেই রূপ ফিরিয়ে আনতে ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জলাভূমিতে নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। লোকালয়ে বন্যার পানি রুখতে ষোড়শ শতাব্দীতে লেকের পানি সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।