উপকূলে ‘ফণী’র আঘাত, ছবিতে দেখুন সর্বশেষ অবস্থা

জুমবাংলা ডেস্ক: শুক্রবার সকালে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানার মাধ্যমে তাণ্ডব শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থা ডয়চে ভেলের সৌজন্যে জুমবাংলার পাঠকদের জন্য দেয়া হলো-

ওড়িশায় ফণীর তাণ্ডব

প্রবল শক্তি নিয়ে ভারতের ওড়িশা রাজ্যে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে তীর্থ নগরী পুরীর ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে গোপালপুর আর চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে৷ ‘‘পুরীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ অকার্যকর হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও টেলিফোন লাইন,’’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন ওড়িশার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার বিষ্ণুপদ শেঠি৷

ওড়িশায় ক্ষয়ক্ষতি

ফণীর আঘাতের শুরুতে ওড়িশায় দুইজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম৷ পুরীর সাক্ষীগোপালে গাছ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে আর ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক বৃদ্ধার৷ এছাড়া গাছপালা ও ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়৷

পশ্চিমবঙ্গের পথে

ওড়িশা রাজ্যের উপকূল অতিক্রম করার পর উত্তর-উত্তরপূর্বে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ফণী৷ শক্তিশালী এই ঘুর্ণিঝড়ের কারণে রেল ও বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছ পশ্চিমবঙ্গ৷ রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় অনেকে আটকা পড়েন স্টেশনগুলোতে৷

কখন আঘাত হানবে বাংলাদেশে

পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে আরো উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ ফণী খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে৷ এরপর রাজশাহী, রংপুর এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে দেশের উত্তরাংশ পেরিয়ে যেতে পারে৷ দেশের স্থলভাগ পার হওয়ার সময় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে৷

ব্যাপক প্রস্তুতি

গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য৷ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উপকূলের ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে ভারতে অন্তত ১১ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে ওড়িশা সরকার৷