জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে যাওয়া এবং আসার সময় অনুসরণীয় প্রটোকল সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। উপদেষ্টাদের বিদেশে যাওয়া ও আসার সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিব বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সকল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ এতে সই করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন৷
দেশের ভেতরে সফরকালে উপদেষ্টাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী তার ঢাকা ত্যাগ ও ফিরে আসার সময় মন্ত্রণালয় বা বিভাগের উপদেষ্টার একান্ত সচিব উপস্থিত থাকবেন বলেও এতে জানানো হয়।
জেলা সদরে যথাসম্ভব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা উপদেষ্টাদের আগমন ও বিদায়ের স্থানে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন।
জেলা সদরে উপস্থিত থাকার জন্য জেলা প্রশাসক অথবা পুলিশ সুপারের নিজের সরকারি সফর বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না। এ ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক/অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। তবে জেলা প্রশাসক পূর্বেই নিজের সফরসূচি জারি করে থাকলে উপদেষ্টার সফরসূচি পাওয়ার পরই উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হবেন যে, জেলা প্রশাসকের সদরে থাকা আবশ্যক কিনা। উপদেষ্টা এ ইচ্ছা প্রকাশ করলে সেক্ষেত্রে জেলাপ্রশাসক তার সফরসূচি বাতিল করবেন।
উপজেলা সদর অথবা উপজেলার অন্য কোনও স্থানে উপদেষ্টার সফরকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। আবশ্যক না হলে জেলা প্রশাসক কিংবা পুলিশ সুপারের এক্ষেত্রে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই।
উপদেষ্টার আগমন ও প্রস্থানের সময় আবশ্যক না হলে বিমানবন্দর বা রেলওয়ে স্টেশনে জেলা প্রশাসক, ঢাকা/চট্টগ্রাম/কক্সবাজার-এর উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। পুলিশ সুপার, কক্সবাজার/মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
কোনো জেলা/উপজেলায় উপদেষ্টার আগমন/প্রস্থানের সময় আশেপাশের জেলার বিমানবন্দর/রেল স্টেশন ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহৃত হলে ট্রানজিট স্থানে সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসকের উপস্থিতির প্রয়োজন নেই; এক্ষেত্রে ট্রানজিট স্থানে জেলাপ্রশাসকের উপযুক্ত প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
উপদেষ্টাদের আগমন ও প্রস্থানের সময় বিভাগীয় কমিশনার অথবা সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)-এর উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। বিভাগীয় কমিশনার সদর দপ্তরে উপস্থিত থাকলে উপদেষ্টার আগমনের পর তিনি তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে পারেন।
উপদেষ্টাদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
দেশের ভেতরে উপদেষ্টার রেলযোগে ভ্রমণকালীন রেলওয়ে পুলিশ যেসব নির্দেশনা অনুসরণ করবে-
উপদেষ্টার সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেলওয়ে পুলিশ সুপার তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট রুটের সকল পুলিশ স্টেশন/ফাঁড়িকে অবহিত করবেন।
যে স্টেশনে উপদেষ্টা ট্রেন থেকে অবতরণ এবং ট্রেনে পুনরায় আরোহণ করবেন অথবা কোন জংশনে যে স্থানে ট্রেন বদলের প্রয়োজন হবে সেসব স্থানে পুলিশের একজন পরিদর্শক/ উপ-পরিদর্শক উপস্থিত থাকবেন।
রেলযোগে চট্টগ্রামে গমন ও প্রস্থানের সময় সেখানে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন।
সাধারণ নির্দেশনায় বলা হয়-
(১) উপদেষ্টাদের সফরসূচি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে যথাসময়ে প্রেরণ করতে হবে। সফরসূচিতে কোনও পরিবর্তন হলে তাও যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করতে হবে।
(২) সার্কিট হাউস/সরকারি রেস্ট হাউস ব্যতীত নিজ বাড়ি কিংবা অন্যত্র অবস্থানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রাচার সংক্রান্ত বিদ্যমান নির্দেশনাবলি প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
(৩) সফরসূচি প্রণয়নের সময় সফরটি সরকারি, না ব্যক্তিগত তা উপদেষ্টাদের দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।