আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার তাণ্ডবে দেশে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। এ ভাইরাসে গোটা বিশ্বই যেন ভয়ে স্থম্ভিত হয়ে আছে। করোনার কোনো উপসর্গই নেই। কিন্তু ১২ এপ্রিল থেকে তাকে সাতবার পরীক্ষা করা হয় এবং প্রতিবারই তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাই হাসপাতাল আর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই তার দিন কাটছে। টানা ২০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর উপসর্গ নেই বলে গত সপ্তাহে ওই করোনা রোগী জয়কে বডোদরা রেল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সরিয়ে আনা হয়। একটি সংবাদমাধ্যমকে জয় জানান, তার হাঁচি-কাশি, ক্লান্তি ভাব, মাথা ধরার মতো কোনো সমস্যাই নেই। বরং প্রথম দিন থেকেই একেবারে স্বাভাবিক তিনি। তিনি জানান, পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকতে তার ভালো লাগে না। বারবার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তার মাও দুশ্চিন্তা করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার উপসর্গ না থাকলে রোগীকে ছাড়ার আগে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পিসিআর (আরটি-পিসিআর) টেস্ট করা হয়। এতে মরা ভাইরাসও ধরা পড়ে। হতে পারে সেই কারণেই বারবার জয়ের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। তবে এ নিয়ে জয়কে এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে কিছু জানাননি চিকিৎসকেরা।
এছাড়া উপসর্গহীন অথবা মৃদু উপসর্গ মিলেছে এমন রোগীদের একটানা তিনদিন জ্বর না এলে, অক্সিজেন দেয়ার প্রয়োজন না থাকলে, ১০ দিন পর্যবেক্ষণে থাকার পরই তাদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এক্ষেত্রে বাড়ি ফিরে সাত দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের। কিন্তু তার থেকে বাবা-মা যদি ফের সংক্রমিত হন, সেই ভয়ে বাড়ি ফিরতে রাজি হননি জয়। যত ক্ষণ না রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে, তিনি কোয়রান্টিনেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।