জুমবাংলা ডেস্ক: কুড়িগ্রামের উলিপুরের হাট-বাজার গুলোতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা বাজারের দাম। গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষনের কারণে শাক-সবজিসহ সব জিনিষের দামেই কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ আড়ৎ এ সরবরাহ কম থাকায় তাদের চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া বেশির ভাগ কাঁচা পণ্য বৃষ্টিতে অবিক্রিত থাকায় দোকানে পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রতিদিনই তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

তবে আড়ৎ মালিকরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেজি প্রতি সামান্য বাড়লেও খুচরা বিক্রেতারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছেন।
সোমবার উলিপুর হাটের আড়ৎ ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আড়তে কেজি প্রতি পিয়াজের দাম ১‘শ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মরিচ প্রতি কেজি ৪০টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৬০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৩২ টাকা, পটল কেজি প্রতি ৩৪ টাকা খুচরা বাজারে ৪০ টাকা, বেগুন ৪৫ টাকা হলেও খুচরা ৫০ টাকা, করল্যা ৫০ টাকা খুচরা বাজারে ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা খুচরা বাজারে ৫০ টাকা , কচু ৩৬ টাকা খুচরা বাজারে ৪০ টাকা, পেঁপেঁ প্রতি কেজি ১৪ টাকা খুচরা বাজারে ২০ টাকা, আড়তে আদা ১৬০ টাকা খুচরা বাজারে তা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। উলিপুর বাজারের আড়ৎদার রফিক মিয়া,আরিফসহ অনেকেই জানান, বাজারে মালামাল আমদানির উপর ৫-১০ টাকা উঠানামা করে। খুচরা ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান, তরিকুল, মন্জু, সেকেন্দার আলীসহ অনেকে জানান, বৃষ্টির কারনে অনেক মালপত্র পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। এ কারনে কিছুটা দাম বেশি নিতে হয়।
এদিকে, কাঁচা বাজরে অগ্নিমূল্যের কারনে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা তাদের পছন্দমতো তরি-তরকারীও কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষের কাজ না থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছে। অনেকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ইচ্ছে মতো দাম আদায় করছে ব্যবসায়ীরা। বাজার করতে আসা মকবুল নামের এক ক্রেতা জানান, কয়েকদিন আগে ১ শত টাকা নিয়ে বাজার আসলে ব্যাগ ভর্তি খরচ হতো, এখন ২ থেকে ৩ শত টাকাও পছন্দ মতো কাঁচা বাজার হয় না। সব মিলিয়ে উলিপুরের হাট-বাজার গুলোতে শাক-সবজিসহ কাঁচা বাজারের দাম লাগাম ছাড়া ঘোড় দৌঁড়ের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, উলিপুরের হাট-বাজার গুলোতে বেশিরভাগ শাক-সবজির বাইরে থেকে আসে। তবে ফুলকফি, বাধাকফি, বেগুনসহ কৃষকরা শীতকালীন শাক-সবজির চাষাবাদ করলে দাম কমে আসবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, কাঁচা-বাজরের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার মনিটরিং করা হবে। সূত্র: পিবিএ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।