বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের স্ত্রী মান্যতা দত্ত ২০০৩ সালে প্রকাশ ঝা-র ফিল্ম ‘গঙ্গাজল’-এ আইটেম ডান্স করে দর্শকদের নজরে এসেছিলেন। বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে তারপর বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু জনপ্রিয়তা মেলেনি সে ভাবে। কিন্তু বলি ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কাজ যতটা না তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সঞ্জয় দত্তের স্ত্রী হিসাবে।
বলিউডে আইটেম গার্ল এখন সঞ্জয় দত্তের স্ত্রী। ২০০৮ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এর দু’বছর পরে যমজ (এক ছেলে, এক মেয়ে) সন্তানের জন্ম দেন তিনি। যে ভাবে যাবতীয় বিতর্ক সামলেছেন দুই সন্তানের মা মান্যতা, তা সত্যিই তারিফযোগ্য। বেশ খোলামেলা হয়ে উষ্ণতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। চল্লিশ পেরিয়েও তার লুকের কোন পরিবর্তন নেই।
১৯৭৯ সালে মুম্বইয়ে একটা মুসলিম পরিবারে জন্ম হয়েছিল মান্যতার। তাঁর আসল নাম দিলনওয়াজ শেখ। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে অনেকে সারা খান বলেও ডাকতেন। কমল রশিদ খানের ‘দেশদ্রোহী’-তে তাঁর নাম হয়েছিল মান্যতা। তার পর থেকে তাঁকে মান্যতা বলেই চেনে দর্শক।
ছোট থেকে দুবাইয়ে বেড়ে উঠেছেন মান্যতা। ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি ভীষণ ঝোঁক ছিল তাঁর। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের চাপ তাঁর কাঁধে এসে পড়ায়, খুব বেশি দিন ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে পারেননি তিনি। পারিবারিক ব্যবসা সামলাতে হয়েছিল তাঁকে।
২০০২ সালে ‘লাভারস্ লাইক আস’ নামে একটি বি-গ্রেড ফিল্মেও অভিনয় করেছেন মান্যতা। তবে মান্যতার সঙ্গে বিয়ের পর সঞ্জয় দত্ত ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই ফিল্মের সমস্ত স্বত্ব কিনে নিয়েছিলেন। বাজারে পাওয়া এই ফিল্মের সমস্ত ভিসিডি এবং ডিভিডি-ও তিনি কিনে নিয়েছিলেন।
সঞ্জয় দত্তের বোনেরা (প্রিয়া এবং নম্রতা) মান্যতাকে তাঁদের পরিবারের সদস্য হিসাবে কোনও দিন মেনে নেননি। তবে সঞ্জয়ের জীবনে মান্যতার গুরুত্ব ব্যাপক। তাঁর ডায়েট, ফিটনেস, টাকাপয়সা এমনকি ফিল্ম বাছার সিদ্ধান্তেও মান্যতার মতামত মেনে চলেন সঞ্জয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।