আরিফুল ইসলাম, ইউএনবি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দেশে যাতে খাদ্য সংকট তৈরি না হয় সে জন্য অনেকটা যুদ্ধই করছেন চুয়াডাঙ্গার প্রান্তিক চাষিরা। ভাইরাস ভীতি উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়েই খাদ্য শস্য উৎপাদনে মাঠে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
তবে অক্লান্ত পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। কষ্টার্জিত ফসলের নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এমন বাস্তবতায় কৃষি ও কৃষকদের বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি বিশেষ সহযোগিতার দাবি তাদের।
করোনার ঝুঁকি সত্ত্বেও ধান, পাট, ভুট্টাসহ নানা ধরনের খাদ্য শস্য উৎপাদণ করে নজির স্থাপন করলেও, এখন ফসলের ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। করোনা পরিস্থিতিতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাইরের জেলা থেকে ব্যাপারি ও ব্যবসায়ীরা এ জেলাতে আসতে না পারাই এ সংকটের মূল কারণ বলে জানান তারা।
কৃষিবিদ খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি শিল্পে এমন বিরূপ প্রভাব দ্রুত কাটিয়ে ওঠা না গেলে দেশে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা থেকেই যাবে। তাই দ্রুত এ সংকট নিরসনসহ কৃষি ও কৃষকদের বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন।’
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর বলেন, করোনা যুদ্ধে কৃষকরাও সামনের সারির যোদ্ধা। কৃষি সমৃদ্ধ দেশ বলেই তারা করোনা মোকবিলায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্য শস্য বিক্রি ও বিপণনের ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া দ্রুত কৃষকদের সংকট নিরসন করে এ বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ারও পরামর্শ দেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।