বিনোদন ডেস্ক : উৎসব আয়োজনে হয়ে গেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। গতকাল এফডিসিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই এফডিসির নিরাপত্তায় প্রায় তিন শতাধিক র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা মোতায়েন ছিল। এদিকে প্রযোজক, পরিচালকসহ অনেক শিল্পী এফডিসির প্রবেশ গেটে ঢোকার সময় ঝামেলা পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এটা নিয়ে প্রযোজক, পরিচালকসহ অনেকে মুখ খুললেও নির্বাচন কমিশনের ভাষ্যমতে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই ছিল এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান ভোট দিতে এসে এফডিসতিে প্রবেশের সময় অনেকটা রেগেই বলেন, ‘গেট দিয়ে যখন আমি ঢুকছি, আমার সঙ্গে কে এটা, পুলিশকে কেন কৈফিয়ত দিতে হবে? আমার সঙ্গে যে-ই থাকুক না কেন, নিশ্চয়ই তিনি গুরুত্বপূর্ণ কেউ!’ তিনি আরো বলেন, ‘এফডিসি আমার ঘর, আমার বাড়ি। এখানে আমি যখন খুশি তখন আসবো। বিগত নির্বাচনে এত সমস্যা দেখিনি।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এফডিসির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির স্টাডি রুমে ভোটগ্রহণ চলে। সকাল থেকেই চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীরা এক এক করে ভোট দিতে আসেন এফডিসিতে। এবারের নির্বাচনী নিরাপত্তা নিয়ে বেশ আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের নানা আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তার পূর্ণাঙ্গ রুপ দেখা গেল গতকাল নির্বাচনের দিন। পুরো এফডিসি জুড়ে ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪৯ জন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোট দেয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়ে দেন মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ৩৮৬ জনের। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতিসহ বেশকিছু পদ থাকলেও বেশিরভাগ ভোটারের মুখে ছিল মিশা সওদাগর ও চিত্রনায়িকা মৌসুমীর নাম। মিশা সওদাগর আগেরবার সভাপতি পদে থাকলেও প্রথমবার সভাপতি পদে স্বতন্ত্রভাবে লড়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সকালে ভোটকেন্দ্রে প্রথম ভোট দিতে আসেন চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তিনি ভোট দেয়ার পর বলেন, সভাপতি পদে থাকা মিশা ও মৌসুমী দুজনই আমার প্রিয় মানুষ। তবে যে কোনো একজনকে বাছাই করতে বেশ কষ্ট হয়েছে আমার।
এরপর অভিনেতা উজ্জল, আলমগীর, সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, অভিনেতা-প্রযোজক সোহেল রানা, জাভেদ, ওয়াসিম, নাঈম, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব খান, অনন্ত, সাইমন, বাপ্পি চৌধুরী, সাইমন, জয় চৌধুরী, শিপন, সানজু জন, অভিনেত্রী নূতন, সুচন্দা, চম্পা, খালেদা আক্তার কল্পনা, রাশেদা চৌধুরী, সাবিহা, সোহানা, সারিকা, দুলারী, এলিজা চিশতি, রেবেকা, শাবনাজ, পলি, একা, নিপুণ, পপি, বর্ষা, আঁচল, পরীমনি, আইরিন, শিরিন শিলাসহ অনেক অভিনয়শিল্পী ভোট দিতে আসেন। এছাড়া চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে প্রতিবারের মতো এবারও আনোয়ারা, শর্মিলী আহমেদ, আবুল হায়াত, শহীদুজ্জামান সেলিম, ডি এ তায়েব, আনিসুর রহমান মিলনসহ অনেকেই গতকাল এফডিসিতে এসে ভোট দেন। এবারের নির্বাচনে প্যানেল ছিল ১টি। এদিকে সভাপতি পদে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে মৌসুমীর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিশা সওদাগর। বর্তমান শিল্পী সমিতির সভাপতিও তিনি। সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল, নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়েছেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এবং ইলিয়াস কোবরা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন সুব্রত। তার বিপরীতে কোনো প্রার্থী ছিল না। আন্তর্জাতিক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন নূর মোহাম্মদ খালেদ, নায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পড়ে লড়েছেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদ একাই লড়েছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যকরী সদস্য পদ রয়েছে ১১ টি। এই পদগুলোর জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন ১৪ জন। তারা হলেন-রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, অলেকজান্ডার বো, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব, শামীম খান ও জেসমিন। সূত্র : মানবজমিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।