২০২২ সালে ৪৬২১ জন ঋণগ্রহীতার ৮৪০৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে ৯ ব্যাংক। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ৬টি ও বিশেষায়িত ব্যাংক ৩টি। ১১ জুন, রোববার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো হলো- অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো হলো- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ আদায়ের স্বার্থে গ্রাহককে সুদ মওকুফ সুবিধা প্ৰদান করতে পারে ব্যাংক। তবে তফসিলি ব্যাংকের মূল ঋণ মওকুফের কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর এই সুদ মওকুফের সুবিধার সঙ্গে কোনো ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
স্পেসএক্সে যোগ দিলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোর কাইরান কাজি
তিনি বলেন, সাধারণত বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রকল্প থেকে ঋণ আদায়, ঋণের জামানত, সহজামানত, প্রকল্প সম্পত্তি এবং প্রকল্প উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রির পরেও পাওনা আদায়ের সম্ভাবনা না থাকলে তখনই সুদ মওকুফের সুবিধা দেওয়া হয়। পাওনা আদায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও পাওনা আদায় করা না গেলে তখনও সুদ মওকুফ সুবিধা প্রদান করা হয়। এছাড়া ঋণগ্রহীতা মারা গেলে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদী ভাঙন বা দুর্দশাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঋণগ্রহীতাকে সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয়।
২০২২ সালে ৪৬২১ জন গ্রাহকের ৮৪০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা সুদ মওকুফের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্যদ। বাংলাদেশে কার্যত তফসিলি ব্যাংকগুরোর জন্য সুদ মওকুফ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।