জুমবাংলা ডেস্ক: আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান লাভের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে এ আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সম্প্রতি, এআইইউবি ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি’র উপাচার্য ড. কারমেন জেড. লামাগনা, বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই আইসিটি একাডেমিটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত উপযোগী দক্ষতা তৈরির মাধ্যমে দেশে একটি আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতিরই অংশ। বাংলাদেশে এটি হবে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পঞ্চম আইসিটি একাডেমি।
এর আগে হুয়াওয়ে বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট ও যবিপ্রবি এ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি একাডেমি চালু করে। এই একাডেমির অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগ পাবেন। এই একাডেমি এআইইউবি’র শিক্ষকদের হুয়াওয়ে কর্তৃক প্রত্যায়িত প্রশিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। প্রশিক্ষণ লাভের পর বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এই শিক্ষকরা আইসিটি একাডেমি শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) উপাচার্য ড. কারমেন জেড. লামাগনা বলেন, ‘বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখতে একটি টেকসই আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের বিকাশ খুবই জরুরি। হুয়াওয়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে নির্মিতব্য এই আইসিটি একাডেমির মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যমান তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারবে; একইসঙ্গে তারা নতুন দক্ষতাও রপ্ত করতে পারবে। আমাদের দেশের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ও দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিকাশে অবদান রাখতে এই ধরনের প্রোগ্রাম চালু করার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।’
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশনস বিভাগের কান্ট্রি ডিরেক্টর কার্ল ইউ ইং বলেন, ‘কোসিস্টেম পার্টনারদের সাথে নিয়ে আমরা এ দেশের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে কাজ করবো। তবে, এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে। ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে আইসিটি ট্যালেন্টদের বিকাশে হুয়াওয়ে বিভিন্ন সহযোগীদের সাথে কাজ করছে, এই শিক্ষার্থীরাই পরবর্তীতে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখবে। আইসিটি একাডেমি তৈরির জন্য এই সহযোগিতা তরুণদের ভবিষ্যত উপযোগী করে
তৈরির চলমান প্রতিশ্রুতিরই অংশ।’
উল্লেখ্য, হুয়াওয়ে ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কো-অপারেশন প্রকল্প হিসেবে আইসিটি একাডেমি চালু করে। বর্তমানে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিশ্বজুড়ে ৯০টির বেশি দেশে হুয়াওয়ের পরিচালনায় ১৫০০ আইসিটি অ্যাকাডেমি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে সব মিলিয়ে ৯২৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত। এছাড়াও, বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।