কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির বিভিন্ন চ্যাটবটের মাধ্যমে ভুয়া বা মিথ্যা তথ্যনির্ভর বিভিন্ন সংবাদ, প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণাপত্রও অনলাইনে প্রকাশ করছেন অনেকে। সম্প্রতি সুইডেনের ইউনিভার্সিটি অব বোরসের একদল বিজ্ঞানী এআই দিয়ে লেখা বানোয়াট গবেষণাপত্রের সন্ধান পেতে গুগল স্কলার সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। সেখানে এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে লেখা শতাধিক সন্দেহজনক গবেষণাপত্র ও নিবন্ধ শনাক্ত করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বর্তমানে অনলাইনে এআই চ্যাটবট দিয়ে লেখা অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র ও নিবন্ধ দেখা যাচ্ছে, যেগুলোর বেশির ভাগই বানোয়াট। ফলে অনলাইনে অনেক ভুল ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। আর তাই এআই চ্যাটবট দিয়ে লেখা গবেষণাপত্র নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের গবেষণার পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই বলে বেশি জটিলতা তৈরি হয়ে থাকে। আবার কোনো বিষয়ে কৌশলগত প্রভাব তৈরির জন্য এসব গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। ফলে গবেষণাপত্রগুলোর তথ্য ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞানী বিজোরন একস্ট্রোম বলেন, এ ধরনের গবেষণাপত্র বিভিন্ন গবেষণার পক্ষে বা বিপক্ষে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের গবেষণাকে অ্যাভিডেন্স হ্যাকিং বলা হয়। এর বাস্তব পরিণতি কঠিন হতে পারে। অনেক গবেষণার ভুল ফলাফল সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক গবেষণার ক্ষেত্রে ভুয়া তথ্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
এআই চ্যাটবট দিয়ে লেখা বানোয়াট গবেষণাপত্র এরই মধ্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অনলাইন আর্কাইভ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সমালোচনার মুখে অনেক গবেষণাপত্র সরিয়ে ফেলা হলেও ঝুঁকি কমছে না। অনলাইননির্ভর বিভিন্ন কাজ বা গবেষণার জন্য এসব ভুয়া গবেষণাপত্রের তথ্য সহায়ক না হওয়ায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।