এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জেফরি ই হিন্টন ও মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভব করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ও রাখছে।
আমি এমন একজন যে জানে না সে কোন ক্ষেত্রে কাজ করছে, কিন্তু মস্তিষ্কের কার্যপদ্ধতি বুঝতে চায়। মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, তা বুঝতে গিয়ে আমি এমন এক প্রযুক্তি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বলা ভালো, নিউরাল নেটওয়ার্ক) উদ্ভাবনে সহায়তা করেছি, যা বিস্ময়করভাবে ভালো কাজ করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে যেমন সবাই জানে, কী করতে হবে। আমাদের কার্বন পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। এটা এখন একটা রাজনৈতিক প্রশ্ন যে ওরা (বিভিন্ন দেশের সরকার) তা করবে কি না। বড় বড় যে প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে অনেক লাভ করছে, তারা এটা (কার্বন পোড়ানো বন্ধ) করতে চায় না।
কিন্তু কী করতে হবে, তা পরিষ্কার। আর এ ক্ষেত্রে (অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে) আমরা এমন এক জিনিস নিয়ে আলাপ করছি, যেটা আসলে কী করতে পারে বা এ ব্যাপারে কী করতে হবে, সেসব নিয়ে আমাদের ধারণা নিতান্ত কম। আমার কাছে যদি একটা সরল রেসিপি থাকত যে এমনটা করলে সব ঠিক হয়ে যাবে, তাহলে ভালো হতো।
কিন্তু সেরকম কিছু আমার কাছে নেই। বিশেষ করে এই জিনিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে নিজেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় কি না, এই যে এক্সিসটেনশিয়াল ক্রাইসিস বা অস্তিত্ব সংকট—আমরা ধারণা, ইতিহাসের এমন একটা মুহূর্তে আছি আমরা যে আগামী কয়েক বছর সময় নিয়ে আমাদের বের করতে হবে এই হুমকি মোকাবেলায় কী করা যায়। আমার মনে হয়, আমরা এটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখব, এ নিয়ে এখনই কাজ শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
এ নিয়ে প্রচুর গবেষণা করা প্রয়োজন। আমার ধারণা, সরকার একটা কাজ করতে পারে। বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ব্যাপক রিসোর্স এ ক্ষেত্রে—অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকি মোকাবেলা ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণায়—ব্যয় করতে বাধ্য করতে পারে। ফলে, যেমন ধরুন, ওপেনএআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তখন আর নিরাপত্তার বিষয়টা ফেলে রাখতে পারবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।