এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
সাঈদ হোসেন চৌধুরী কর্ণফুলী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী, ভাষাসৈনিক ও সমাজসেবক হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর ছেলে এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কর্ণফুলী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাবের হোসেন চৌধুরীর বড় ভাই।
তিনি দেশের চা শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মালিকানাধীন এইচআরসি গ্রুপ দেশের অন্যতম চা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে।
এইচআরসি গ্রুপ শুধু চা শিল্প নয়- পর্যটন, জাহাজ নির্মাণ, আবাসন, পরিবহন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
সাঈদ হোসেন চৌধুরী আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি স্পেনে বাংলাদেশের সাবেক অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কূটনৈতিক মহলে তার ভাবমূর্তি ছিল অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ।
তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ফোরামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
শিল্পোদ্যোক্তা হলেও তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। শিক্ষাবিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা ও দারিদ্র্য বিমোচনে তার বিভিন্ন উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বিজনেস লিডার ও সমাজসেবী হিসেবে তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন জাতীয় সংগঠন তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে।
আপনারা চমৎকার কাজ করছেন, ড. ইউনূসকে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট
সাঈদ হোসেন চৌধুরী মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা শোকাহত।
সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের ব্যবসায়ী, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।