জুমবাংলা ডেস্ক : মেডিকেল কলেজ কিংবা মেডিকেল বিভাগে পড়াশোনা না করে এমবিবিএস, এমডি, পিএইচডি ডিগ্রির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দীর্ঘ ২০ বছর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ভুয়া ডাক্তার নেজাম উদ্দিন। তার দাবি, তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ফেনীস্থ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন র্যাব-৭। চর্ম, যৌন (সেক্স), এলার্জি, শ্বেতী, বিশেষজ্ঞ সাইন বোর্ড লাগিয়ে প্রতি রোগী থেকে ৬শ’ টাকা ফি নিতেন তিনি। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযানে র্যাব তার কাছ থেকে ডাক্তারি করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে। মো. নেজাম উদ্দিন প্রাথমিকভাবে এসএসসি ও এইচএসসি পাস দাবি করেছে। তবে ডাক্তারি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি র্যাবের কাছে।
র্যাবের ফেনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি নুরুজ্জামান জানান, র্যাব-৭, ফেনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ফেনী শহরের মডেল থানার বিপরীতে ট্র্যাংক রোডস্থ জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন লোক ডাক্তারি শাস্ত্রে না পড়ে ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র প্রদান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ও সিভিল সার্জন অফিসের একজন ডাক্তারকে সঙ্গে নিয়ে মো. নেজাম উদ্দিনকে আটক করে। সে জেলার ফাজিলপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাহার চেম্বার তল্লাশি করিয়া ভুয়া ব্যবস্থাপত্রের ০২ টি প্যাড, ০১ টি বিপি মেশিন, ০১টি স্টেথোস্কোপ, ২৮টি ফাইল কভার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ ধারা অনযায়ী মামলা রুজু করে ফেনী জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।