আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লাল টকটকে মিষ্টি তরমুজ কে না ভালোবাসে। তবে তরমুজপ্রেমীরা কি কখনো চারকোনো তরমুজের স্বাদ নিয়েছেন? জেনে খানিকটা অবাক হবেন জাপানে বিশেষভাবে এই চৌকোনো তরমুজ উৎপাদন হয়ে থাকে।
তবে এই তরমুজের বীজ বুনলেই যে চারকোনো তরমুজ জন্মাবে তা না। বেশ যত্ন নিতে চাষ হয় এই তরমুজ। জাপানে এই তরমুজ অভিজাত ফল হিসেবে পরিচিত।
চড়াদামে বিক্রি হওয়া তরমুজগুলো সাধারণত উপহার হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। একেকটি তরমুজের দাম ৩০০ থেকে ৮০০ ডলার পর্যন্তও হয়ে থাকে।
১৯৭৫ সালে প্রথমবারের মতো সফলভাবে আয়তঘন আকৃতির তরমুজ উৎপাদিত হয়। এরকম তরমুজ উৎপাদনের চিন্তা করা অবশ্য সহজ ছিল না। দীর্ঘদিনের পরীক্ষা, গবেষণা ও ধৈর্য নিয়ে যত্নসহকারে জেনসুজি শহরে প্রথম এই তরমুজ চাষ করা হয়।
জাপানের জেনসুজি শহর তরমুজ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। সাধারণত গ্রীষ্মকালে তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়। সেখান থেকেই চিন্তা করা হয় তরমুজে এমন কোনো নতুনত্ব আনার যা শুধু জেনসুজির জন্য সুনাম বয়ে আনবে। সেই চিন্তা অবশ্য ব্যর্থ হয়নি। চারকোনো তরমুজকে এখন জেনসুজির ট্রেডমার্ক বলা যেতে পারে। বাণিজ্যিক প্রচার ও প্রসারে অল্প সময়েই তারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
চারকোনো তুরমুজ চাষের পেছনে আরেকটি কারণ ছিল। তা হলো এর আকৃতি। চারকোনো তরমুজ চৌকো করে কাটতে খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। এছাড়া ফ্রিজেও সহজেই সংগ্রহ করা যায়। ফ্রিজ বা যেগুনো স্টোরেজে কম জায়গায় নেয় এই তরমুজ।
চারকোনো তরমুজ উৎপাদনের প্রক্রিয়া অবশ্য সহজ। পরিণত তরমুজের চেয়ে ছোট আকৃতির স্বচ্ছ চারকোনো বক্স তৈরি করা হয়। ছোট থাকতেই তরমুজের সঙ্গে তা সেঁটে দেওয়া হয়। ফলে তরমুজ বড় হয়ে চারকোনো আকৃতি ধারণ করে।
চারকোনো এই তরমুজ রপ্তানি করে জাপান বেশ ভালো লাভ করে থাকে। এরকম একটি তরমুজ কিনতে গেলে আমেরিকানদের গুণতে হয় ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত! এমনকি প্যাকেজিং এবং সবকিছুর পর কোনো কোনো তরমুজ ৮০০ ডলার বা প্রায় ৮০ হাজার টাকাতেও বিক্রি হয়ে থাকে।
সূত্র: এ-জেড এনিম্যালস
ভারতে যাচ্ছে শত শত মণ স্বরূপকাঠির সুপারি, মৌসুমে শতকোটি টাকার বেচাকেনা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।