জুমবাংলা ডেস্ক: বিষ ও রাসায়নিক সার মুক্ত শাক-সবজি, তরুলতা, বিভিন্ন ঔষধি ও ফলদ গাছে আচ্ছাদিত বাড়ির আঙিনা। পাশেই ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরির শেড, খামারজাত সার উৎপাদন শেড, মাটি ও গোবর মিশ্রণ শেড করা পাঁচটি বাড়িকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলেছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের মৌশা গ্রামে গড়ে উঠেছে এই মডেল গ্রাম। বৃহত্তর ময়মনসিং অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করণ প্রকল্পে আওতায় পাঁচটি বাড়ি নিয়ে এই প্রথম একটি মডেল গ্রাম গড়ে তুলা হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রান্নার কাজ শেষ করে বাড়ির আঙিনায় নিরাপদ সবজি বাগান ও ফল বাগানে কাজ করছেন সালমা আক্তার নামের এক গৃহবধূ। যেখানে লাল শাক, পুঁই শাক, ডাটা, ডেরস, বিভিন্ন রকমের সবজির চাষের শেড। পাশ দিয়ে ঔষধি গাছসহ আম, লিচু ও লেবু গাছের চারা। প্রতিদিনের শাক সবজির উচ্ছিষ্ট অংশ, কেঁচো ও গরুর গোবর মিশ্রণ করে তৈরি হচ্ছে ভার্মি কম্পোষ্ট নামের এক প্রকার সার। এই সার প্রয়োগ করেই উৎপাদন করা হচ্ছে এই মডেল গ্রামের শাক-সবজি। নিজেদের সবজির চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট সবজিগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে জানায় মডেল গ্রামের জিয়াসমিন আক্তার। বিষ ও রাসায়নিক সার মুক্ত এসব সবজি বিক্রি করতে বাজারে নিতে হয় না। বাড়ি থেকেই এ সব সবজি বিক্রি করা যায় বলে গৃহিনীরা জানায়। এতে পারিবারিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন ওই মডেল গ্রামের গৃহিনী রাজিয়া সুলতানা। এ প্রকল্পের আওতায় সারা বছরই শাক-সবজি উৎপাদন করতে প্রয়োজনীয় বীজ ও অন্যান্য সরঞ্জমাদি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে সরবরাহ করা হয় বলে জানান মডেল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম।
উপ সহকারী ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিষ ও রাসায়নিক সার মুক্ত সবজি এবং ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদনের এই পাঁচটি গ্রাম দেখে এই এলাকার অনেকেই এই প্রকল্প চাচ্ছেন। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে মডেল গ্রাম গড়ে তুলছেন।
মডেল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার গৃহিনী বাড়ির কাজ শেষ করে এই মডেল গ্রামের কাজে সময় দেই। এতে আমাদের পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত শাক-সবজি বিক্রি করি।
মডেল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এই মডেল গ্রামকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। এতেও আমরা খুব আনন্দ পাই। আমাদের উপ সহকারী ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান ভাই নিয়মিত এই প্রকল্প দেখতে আসেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ বলেন, মুবিজবর্ষ উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিং অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি বাড়ি নিয়ে সখীপুরে এই প্রথম মডেল গ্রাম গড়ে তোলা হয়েছে। এতে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত শাক-সবজি বিক্রি করে অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।