জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যাপক পরিশ্রম, সংগ্রাম আর অদম্য ইচ্ছার জোরে বাংলাদেশ আজ নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতা দিয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে। এই সংগ্রামকে উদযাপন করার মতো কিছু খুশির মুহূর্ত নিয়ে আসে, যখন জানতে পারা যায় যে কোরবানির ঈদে গবাদি পশুর সংকট হতে চলেছে না। দেশজ উৎপাদনই এবার সবার চাহিদা পূরণ করবে। এটা একদিকে খামারিদের জন্য যেমন বিপুল গর্বের, অন্যদিকে অর্থনীতির জন্য সুসংবাদও বটে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, কোরবানির পশুর জন্য আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই এবং দেশের খামারিরাই যথেষ্ট পরিমাণ পশু সরবরাহ করতে সক্ষম।
খামারিদের সাফল্য এবং পর্যাপ্ত গবাদি পশু নিশ্চিত
ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, দেশের খামারিরা যেভাবে উৎপাদন ও পরিচালনা করছে তা সন্তোষজনক এবং আন্তর্জাতিক আমদানির ওপর নির্ভরতা কমছে। কোরবানিতে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু ও মহিষ এবং ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল ও ভেড়া। এই হিসাব থেকে বোঝা যায় যে, এবারের কোরবানি ঈদে পশুর প্রাপ্যতা নিয়ে কোনো চিন্তার দরকার নেই।
গবাদি পশুর অনুন্নয়ন আর কমতি রোধে সীমান্তে অবৈধ পশু প্রবেশ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সরকার। পশু পরিচালনার এই সাফল্যের জন্য খামারিদের কঠোর পরিশ্রম করা প্রয়োজন হয়েছে এবং তা দেশের জন্য গর্বের বিষয়।
চাঁদাবাজি ও মূল্য অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা
ফরিদা আখতার বলেন, “চাঁদাবাজির কারণে কোরবানির পশুর বাজার যেন অস্থির না হয় তা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।” এক্ষেত্রে সরকার এগিয়ে এসেছে প্রচুর উদ্যোগ নিয়ে, যাতে ব্যবসায়ীদের কোনো অযৌক্তিক চাঁদাবাজির শিকার হতে না হয় এবং এর ফলে মূল্যও বাড়ানো না হয়। অন্তঃমন্ত্রাণালয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণে সরকার অত্যন্ত সতর্ক।
অন্যদিকে, গ্রাম-গঞ্জের মাঠ থেকে শুরু করে শহরের বাজার পর্যন্ত পশুর নিরাপদ ও নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমতাবস্থায় দেশের খামারিরা যে আত্মমর্যাদার সাক্ষর রেখেছে, তা নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নির্ভরতা স্বনির্ভরতার পথে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
FAQs
এবার কোরবানির ঈদে গবাদি পশুর আমদানির প্রয়োজন হবে?
না, এ বছর কোরবানির ঈদে গবাদি পশুর আমদানির প্রয়োজন হবে না। দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়ে চাহিদা অনায়াসে পূরণ করা সম্ভব।
দেশে কোরবানিযোগ্য কতগুলি গবাদি পশু রয়েছে?
এ বছর প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে।
গবাদি পশুর বাজারে চাঁদাবাজি ও মূল্য অস্থিরতা আটকাতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
চাঁদাবাজি ও মূল্য অস্থিরতা আটকাতে সরকার সতর্ক রয়েছে এবং এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
খামারিরা দেশের অর্থনীতিতে কিভাবে ভূমিকা রাখছে?
খামারীরা দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে গবাদি পশুর চাহিদা মেটাচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতির স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।