লাইফস্টাইল ডেস্ক: শীতকাল আসলেই বেড়ে যায় নানা রোগের প্রকোপ। বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার মতো দাঁতের ব্যথাও বেড়ে যায় অনেকের। বিশেষ করে দাঁতের সমস্যা রয়েছে যাদের, শীতকালীন ঠান্ডা আবহাওয়ায় তাদের দাঁত ব্যথা ও দাঁত শিরশির করার প্রবণতা বেড়ে যায়।
শীতকালে দাঁত ব্যথা ও শিরশির থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকরি কিছু উপায় জেনে নিন।
* নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিন: ঠান্ডা আবহাওয়ায় দাঁত ব্যথা ও শিরশিরে অনুভূতির প্রবণতা থাকলে নাকের মাধ্যমে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে যেহেতু দাঁত ব্যথা হতে পারে তাই নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন। এতে নাকের মাধ্যমে ঠান্ডা বাতাস ঢুকলেও মুখ দিয়ে উষ্ণ বাতাস বের হবে। ফলে দাঁত ব্যথা বা শিরশিরের প্রবণতা কমবে।
* গরম পানীয় পানে স্ট্র ব্যবহার করুন: শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে চা, কফি বা অন্যান্য গরম পানীয় পানের অভ্যাস বেড়ে যায়। কিন্তু সংবেদনশীল দাঁতে গরম পানীয়ের সংস্পর্শে শিরশিরে অনুভূতির ঝুঁকি থাকে। তাই দাঁতে গরম পানীয়ের সংস্পর্শে এড়াতে স্ট্র ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া শীতকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে কুলি করবেন না। কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
* চিনি কমান: দাঁতে সমস্যা বা সংবেদনশীলতা থাকলে অত্যধিক চিনি ও এসিড আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। একেবারেই খেতে পারবেন না তা নয়, তবে পরিমাণ কমাতে হবে। এসব খাবার বেশি খেলে দাঁত ক্ষয় ও ব্যথা বেড়ে যায়। সহজেই শিরশির করে। শীতকালে দাঁতের যন্ত্রণা এমনিতেই বেড়ে যায়, তাই এসময় মিষ্টি খাবার খেয়ে দাঁতের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলবেন না।
* রোদ পোহান: মজবুত হাড় ও দাঁতের জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন। দাঁত যত দুর্বল হবে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় তত কাবু হবে। তাই শীতে দাঁত ব্যথা ও শিরশির এড়াতে নিয়মিত রোদ পোহান। তা সম্ভব না হলে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
দাঁত ব্যথা কমানোর উপায়
হঠাৎ দাঁত ব্যথা শুরু হলে কিছু ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে দেখতে পারেন।
লবণ-পানি: দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তির প্রথম উপায় হলো, এক মগ কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ লবণ মিশিয়ে কুলি করা। লবণ পানি মুখে কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ড রেখে কুলি করতে হবে। দাঁতের ব্যথা কমাতে এটা বেশ কার্যকর পদ্ধতি।
রসুন: দাঁত ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে রসুন। রসুন থেঁতলে ল্ণ মিশিয়ে দাঁতে ব্যথার জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যেতে পারে। রসুন চিবোলেও ব্যথার উপশম হতে পারে।
হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড: দাঁতের ব্যাথা কমানোর করার জন্য হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দারুণ কাজের। চা চামচের এক চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এক কাপ পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট কুলি করতে হবে। তবে এই মিশ্রণ কোনোভাবেই গিলে ফেলা যাবে না। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দিয়ে কুলি করার পর আবার সাধারণ পানি দিয়ে কুলি করতে হবে।
লবঙ্গ: দাঁতের ব্যথার উপশমে দীর্ঘকাল ধরেই লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। হাতের কাছে লবঙ্গের তেল থাকলে তুলোয় ভিজিয়ে দাঁতের গোড়ায় রেখে দিলে ব্যথার উপশম পাওয়া যায়। এছাড়া একটি লবঙ্গ দাঁতের গোড়ায় রেখে দিলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
পুদিনা চা: পুদিনার চা: এক মগ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ শুকনো পুদিনা পাতার গুঁড়া মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা করুন। এরপর মুখে কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ড রেখে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা প্রশমিত হতে পারে। এছাড়া একটি ব্ল্যাক টি ব্যাগকে গরম পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত দাঁতে চেপে ধরতে পারেন।
হলুদ: হলুদ শক্তিশালী অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে পরিচিত। এটি ব্যথা ও ফোলাভাব দূর করতে সহায়ক। দাঁত ব্যথা হলে হলুদ মেশানে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন বা হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাড়িতে দিলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য হেলদি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।