আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একদিনের কম সময়ে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশে হামলা চালিয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার পর্যন্ত সিরিয়া, লেবানন ও ইরাকে হামলা চালিয়েছে দেশটি।
শনিবার মধ্যরাতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বড় ধরণের সমন্বিত হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগেই হামলা চালিয়ে ইসরায়েলে ইরানের বড় ধরণের হামলা চালানোর প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে।
এই সময় কোথাও ইরানকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেনও তিনি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক টুইটারে বলেছে, সিরিয়ায় শিয়া মিলিশিয়া লক্ষ্যবস্তুতে এবং ইরানি কুদস বাহিনীর সদস্যদের ওপর কেবলই হামলা চালিয়ে আমরা ইসরায়েলের ওপর বড় ধরণের ‘কিলার ড্রোন’ হামলার প্রস্তুতি ঠেকিয়ে দিয়েছি।
অবশ্য সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ইসরায়েলের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এদিকে প্রায় একই সময়ে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। একটি ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহর মিডিয়া সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপরটি মাঝ আকাশেই বিধ্বস্ত হয়।
ড্রোন হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নসরুল্লাহ বলেছেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের এই আগ্রাসন মেনে নেবে না। ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করবে তারা।
এছাড়া আলজাজিরা জানায়, সিরিয়া সীমান্তবর্তী ইরাকের আনবার প্রদেশে রোববার হাশদ আল-শাবি’র ওপর ইসরায়েল ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মিলিশিয়া বাহিনীটি।
এতে তাদের দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স-পিএমএফ হিসেবেও পরিচিত এই মিলিশিয়া গোষ্ঠী।
রোববার এক বিবৃতিতে পিএমএফ বলেছে, ইরাকে ধারাবাহিক ইহুদিবাদী হামলার অংশ হিসেবে ইসরায়েল ফের হাশদ আল-শাবিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে। এদিন দুটি ইসরায়েলি ড্রোন ইরাকি আকাশসীমায় ছিল।
অবশ্য এ বিষয়ে কোনো ধরণের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, আমরা বিদেশি প্রতিবেদনের ওপর কোনো মন্তব্য করি না।