জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তানসহ চারজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত শাহিনুরের আপন ছোটো ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। তবে রিমান্ড শুনানির দিন এখনও আদালত কর্তৃক ধার্য হয়নি বলে তিনি জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে লোমহর্ষক এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত শাহিনুরের শাশুড়ি কলারোয়ার ওফাপুর গ্রামের রাশেদ গাজির স্ত্রী ময়না বেগম। মামলায় তিনি কারও নাম উল্লেখ না করেই বলেন, কে বা কারা ওই চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারান চন্দ্র পাল জানান, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব ইতোমধ্যে সিআইডিতে হস্তান্তর হয়েছে।
অপরদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ঘটনাস্থল ওই বাড়িতে এখনো কৌতূহলী মানুষের ভিড় কমেনি। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া চার মাসের শিশু মারিয়া সুলতানার দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের কাছে । তিনি ওই শিশুর চিকিৎসা ও বেড়ে ওঠার সব ব্যয়ভার বহন করতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন ।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে শাহীনুর, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতেই নিকটস্থ ব্রজবাকসা গ্রামে শাহিনুরের মামা আবদুল কাদেরের পারিবারিক গোরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য হ্যাচারি মালিক শাহিনুর, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানাকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।