জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে চার শ্রমিকসহ ছয়জন মারা গেছেন। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে আক্কেলপুর উপজেলার জাফরপুর হিন্দুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন বাড়ির মালিক নিখিলের ছেলে প্রীতম চন্দ্র মহন্ত (১৭) ও চাচাতো ভাই ভুট্টু চন্দ্র (৫৫), উপজেলার গণিপুর
গ্রামের মৃত শামছুল আকন্দের ছেলে রাজমিস্ত্রি শাহিন (৩৮), রেজাউলের ছেলে সজল (১৬) ও শাফির ছেলে সিহাব হোসেন (১৭), খলিসশ্বর গ্রামের খলিল রহমানের ছেলে রাজমিস্ত্রি মুকুল হোসেন (৩৫)।
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে নিখিলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের শাটারিং খুলতে যান শ্রমিক শাহিন। নিচে নেমে উঠতে না পারায় তাকে বাঁচাতে একে একে অন্যরা গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান চারজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু হয় অন্যদের। এ ঘটনায় আহত জাফরপুর হিন্দুপাড়ার সীতার ছেলে দিলিপ নওগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্কেলপুর থানার ওসি কিরণ কুমার রায় জানান, লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহম্মেদ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেন।
নতুন বাড়িতে ওঠার স্বপ্ন কেড়ে নিল একটি সকাল : ছেলে প্রীতম ও ছোট মেয়ে পূজাকে নিয়েই দরিদ্র কৃষক নিখিলের সুখের সংসার। সামান্য কিছু জমি থাকলেও সংসারের দরিদ্রতার কারণে তা আজ নেই। মুড়ির মিলে দিনমজুরির কাজ করা নিখিল কষ্টে সংসার চালাতেন। পরিবার লেখাপড়ার খরচ বহন করতে না পারায় প্রীতম ঢাকা মেট্রোরেলে চাকরি নেন। কয়েক দিন আগে দাদির অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়িতে যান। আসার পর মারা যান দাদি। বাবা ও ছেলের রোজগারের টাকা দিয়ে নির্মাণ করা হয় ইটের বাড়ি। পুরনো মাটির কুঁড়েঘরের পাশে নতুন বাড়িতে ওঠার স্বপ্ন দেখছিলেন প্রীতম। তার সেই স্বপ্ন কেড়ে নিল একটি সকাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।