মোহাম্মদ আল আমিন : অভ্যান্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো, মাত্রাতিরিক্ত ছুটি কাটানোসহ বেশ কয়েকটি কারণে হাতুরেসিংহেকে কোচের দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। তবে একটা বিষয় মানতেই হবে, কোচ চান্ডিকা হাতুরেসিংহে ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম কোচ।
তার সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে উন্নতি হয়েছে সেটা আর কারো সময়ে হয়নি। গর্ডন গ্রিনিজ, বা হোয়াটমোরের ক্ষেত্রে বিষয়টা ছিল একটু অন্যরকম। তাদের কাজ ছিলো দলকে জাতে উঠানো, আত্নবিশ্বাস দেয়া। কিন্তু হাতুরেসিংহে পুরোপুরি তাদের লাগানো চারাগাছকে পরিপূর্ণ একটা বৃক্ষে রূপ দিতে পেরেছিলেন।
নতুন কিছু উদীয়মান ক্রিকেটার বের করে আনতেও হাতুরুর অবদান নেহাত কম ছিলোনা। সৌম্য, সাব্বিরের মত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তিনিই তো বের করেছিলেন।
হাতুরুর কোচিং প্যানেলের বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠা মুস্তাফিজ, তাসকিন, আল-আমিন দলে এনে দিয়েছিলো একটি ভারসাম্য। আর সেই বোলারদের সঙ্গ দিতে সাথে ছিলেন অন্যতম সেরা পারফর্মার ও অধিনায়ক মাশরাফি। তাদেরই নেতৃত্বে বাংলার মাটিতে নাকাচুবানি খেয়ে গেছে ভারত। বাদ যায়নি সাউথ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মত দল গুলোও।
অথচ কোন এক কারণে হাতুরুসিংহের গড়ে দেওয়া সেই খেলোয়াড় গুলা সবাই এখন আছেন অফফর্মে। সৌম্য, সাব্বির যেন ব্যাটই ধরা ভুলে গিয়েছে। তাসকিন অফফর্মে আছে গত ২-৩ বছর ধরে। শৃঙ্খলার অভিযোগে বাদ পড়ে আল-আমিন।
রুবেলেরও উন্নতি হয়েছিল হাতুরুর সময়েই। সে রুবেলও নিজের বোলিং এ গতি দেওয়ার পাশাপাশি ভুলে গেছেন লাইন এবং লেংথ। সর্বশেষ কাটার মুস্তাফিজ। সেও আছেন নিজের চেনা জাতের বাহিরে। শুরুতে খেয়ে ফেলেন অতিরিক্ত রান। যা ২-১টা উইকেট পায় তা স্লগ ওভারে।
দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ভাষ্যমতেও নাকি ডেভ হোয়াটমোরের পর ডমিঙ্গোই একজন সেরা কোচ। তবে ডোমিঙ্গো ও তাঁর নেতৃত্বাধীন কোচিং প্যানেল বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কতদূর নিয়ে যেতে পারবে সেটাও সময়ই বলে দেবে।
ডোমিঙ্গো টাইগার দলকে কতদূর নিয়ে যাবেন সেটির জন্যও থাকতে হবে সময়ের অপেক্ষায়। তবে ক্রিকেট ভক্তরা খুব করে চাইবে, ডোমিঙ্গো যেনো অফফর্মে থাকা সৌম্য এবং সাব্বিরকে ঝালাই করে আবার ফর্মে ফিরে নিয়ে আসা।
অন্য দিকে মুস্তাফিজ-তাসকিনদের সক্ষমতা নিয়ে তো কোন প্রশ্ন নেই। তাদেরকে শুধু নিজেরদের জায়গাটা চিনিয়ে দেওয়াটাই থাকবে বোলিং কোচ ল্যাঙ্গেভেল্ট এর কাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।