স্পোর্টস ডেস্ক: বাবা ছিলেন নিউজিল্যান্ড এর রাগবি খেলোয়াড় ছেলে ইংল্যান্ড এর ক্রিকেটার। বেঞ্জামিন এন্ড্রু স্টোকস যিনি সারা বিশ্বে বেন স্টোকস নামেই পরিচিত। ১৯৯১ সালে নিউজিল্যান্ড এর ক্রাইস্টাচার্চে জম্মগ্রহন করেছিলেন তিনি। ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরেই পারি দেন ইংল্যান্ড। আর সেই ১২ বছর এর ছেলেটি আজকে ইংল্যান্ড এর নায়ক। আর সেই ছেলেটি নিজের জম্মভূমিকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছন ইংল্যান্ডকে।
বেন স্টোকস এর বাবা জেরার্ড স্টোকস ছিলেন রাগবি লিগের খেলোয়াড় ও কোচ। বাবার সাথে উত্তর ইংল্যান্ডে স্থানান্তরিত হওয়ার পর ককেরমাউথ ক্রিকেট ক্লাবে তার জুনিয়র ক্রিকেট এর পথ চলা শুরু হয়। স্টোকস ২০০৯ সালে ডারহামে ওয়ান্ডে ক্রিকেট এর অভিষেক হয়। এবং পেশাদার ক্রিকেটে তার তৃতীয় বলে অতিশয় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মার্ক রামপ্রকাশ এর উইকেট লাভ করেন।
তিনি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন দুটি যুব টেস্ট ম্যাচ। তারপর তিনি ২০১০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে একটি শতরান করেন।
ইংল্যান্ড এর জার্সি গায়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ২০১১ সালের আগস্টে আয়ারল্যান্ড এর বিপক্ষে একদিনের ম্যাচ দিয়েই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামেন।
২০১৯ বিশ্বকাপে যেমন তিনি মহা নায়ক বনে গেছেন। ঠিক তেমনি ২০১৬ টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন ভিলেন। টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ ওভারে ওয়েস্টিন্ডিজ এর প্রয়োজন ছিল ১৯ রান, বোলিং ছিল বেন স্টোকস। পরপর ৪ বলে ৪ টি ওভার বাউন্ডারি মারেন কার্লোস ব্রাদওয়েট। সেইদিন স্টোকস কে ভিলেন বানিয়ে নায়ক হয়ে ছিলেন ব্রাদওয়েট। আর সেই থেকেই যেন মনেমনে পণ করে রেখেছিলেন যে তিনি এমন কিছু করবেন ইংল্যান্ড এর জন্য যা কিনা সারা জীবন মনে রাখবেন ঐ দেশের মানুষ। সেই স্বপ্নকে তিনি বাস্তনে রুপ দিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। নিউজিল্যান্ড এর মানুষকে হতাশায় ভুগিয়ে ১৪ জুলাই লর্ডসে মহানাটকীয় ফাইনালে ইংল্যান্ড যে প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে তুলেছে, তাতেও বড় কৃতিত্ব স্টোকসের।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।