বিজনেস ডেস্ক : একটি প্রতারক চক্র চেকের নম্বর পরিবর্তন করে টাকা তুলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাজধানীর দুটি ব্যাংক। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে গ্রাহক তার হারানো টাকা ফেরত পান। এরকম অভিযোগ এখন নিয়মিত জমা হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এমআইসিআর চেক ব্যবহৃত হচ্ছে, যা পূর্বের চেকের চেয়ে বেশি নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি। কিন্তু প্রতারকচক্র প্রথমে একটি ব্যাংকের হিসাবে কত টাকা আছে, তার তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীকালে ওই হিসাব নম্বরের কাছাকাছি কোনো গ্রাহকের চেক সংগ্রহ করে। এরপর চেকের ১৩ ডিজিটের নম্বরের কয়েকটি বা পুরো নম্বর পরিবর্তন করে ফেলে। এই পরিবর্তনকাজ করা হয় খুবই সূক্ষ্ম কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে। খালি চোখে যা ধরা পড়ে না।
ব্যাংকাররা বলছেন, জালিয়াতির এসব তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও জানানো হয়েছে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে। কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা এসব বিষয় নিয়ে কাজও করছে। অপরদিকে এরকম জালিয়াতির ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন ব্যাংকের ক্যাশ বিভাগের কর্মকর্তারা।
তারা জানান, চেকের ১৩ ডিজিটের নম্বরসব অন্যান্য নম্বরও খুবই কৌশলে সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, যা খালি চোখে ধরা মোটেই সম্ভব নয়। আমরা সাধারণত চেকে থাকা হিসাব নম্বর ও চেক নম্বর মিলিয়ে দেখি। এরপরই হিসাবধারীর স্বাক্ষর মেলাই। সন্দেহ না হলে অর্থ ছাড় করে দিই। প্রতিটি চেকের বিপরীতে অর্থ দেওয়ার সময়ে গ্রহীতার মোবাইল নম্বর চেকের উল্টো পাতায় লিখিয়ে রাখি। কিন্তু কখনই ওই নম্বর সঠিক কি না, এটি দেখা হয় না। এটি দেখাও সময়সাপেক্ষে। এটি করতে হলে লেনদেন সময় ও জটিলতা বৃদ্ধি পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, অনেক প্রবাসীই দেশে থাকা অবস্থায় ব্যাংকে হিসাব খোলেন। এ সময় তার নমিনিকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে যান। প্রয়োজনীয় অনুপাতে একই সঙ্গে পুরো চেকবই সই করে চলে যান। পরবর্তীকালে প্রতি মাসে বা প্রয়োজনে তার স্বজনরা চেকে টাকার পরিমাণ বসিয়ে অর্থ তুলে নিয়ে যান। এ সুযোগটাই নিচ্ছে প্রতারকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।