জুমবাংলা ডেস্ক: বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের আমদানিতে সরগরম হয়ে ওঠেছে পিরোজপুরে পাড়েরহাটের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। মাছ নিয়ে এ মৌসুমে কেন্দ্রের ঘাটে ভিড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার; আর তাতে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকা কেনাবেচা হয়।
ভোরের আলো ফোটার আগেই পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সমুদ্র থেকে নানারকম মাছ নিয়ে হাজির হন জেলেরা। বিভিন্ন সব সুস্বাদু মাছের ভিড়ে এখানে স্থানীয় মাছের দেখা মেলা ভার। এ জেলার মানুষের সামুদ্রিক মাছের প্রতি আগ্রহও বেশি। বছরের এ সময়টিতে সামুদ্রিক মাছের ট্রলারগুলো বেশিরভাগই এ অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়ে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম থাকে এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।
নাছির হাওলাদার নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, বিগত দিনে শীতের এ সময়টিতে মাছের দাম অনেক কম থাকে; কিন্তু এ বছর তুলনামূলক মাছের দাম বেশি। কারণ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সমুদ্রে ট্রলার পাঠিয়ে যে খরচ হয়, সে পরিমাণ মাছ পাওয়া যায় না। এ কারণেই মাছের দাম বেশি।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, এ কেন্দ্রে মাছের ট্রলারের আমদানি থাকলেও জেলেদের জালে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না। তাইতো বাজারে সামুদ্রিক মাছের দাম তুলনামূলক একটু বেশি।
মো. জাকির হোসেন নামে এক ট্রলার মালিক বলেন, বর্তমানে শীতের সময়টিতে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার কথা; সেই পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই স্বাভাবিকের চেয়ে দাম একটু বেশি। আর মাছের সরবরাহ মোটামুটি।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্রে ভারতীয় ট্রলার মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ায় চাহিদা মতো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
পিরোজপুরের পাড়েরহাটের বাজারে প্রতি কেজি মাছের দাম ইলিশ (ছোট) ৬০০ টাকা, ইলিশ (বড়) ১০০০ টাকা, পোয়া ৫০০ টাকা, লাক্ষ্যা ১০০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা, জাভা ৪৫০ টাকা, তুলা ডাডি ৩৫০ টাকা, মরমা ৪৫০ টাকা, ভোল ৮০০ টাকা ও তেলাপিয়া ২২০ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।