
বিনোদন ডেস্ক : ভারতের সদ্য প্রয়াত বাঙালি অভিনেতা তাপস পাল মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালের অবহেলায় মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী নন্দিনী পাল। দেশটির পত্রিকা আনন্দবাজারে লেখা কলামে তিনি জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তাপসকে একদিন বেঁধেও রাখা হয়!
নন্দিনী লিখেছেন, মেয়েকে নিয়ে তিনি আর তাপস পাল গত ২৮ জানুয়ারি মুম্বাই যান। সেখানে হঠাৎ তাপস অসুস্থ হলে বান্দ্রার ওই হাসপাতালে নেন। সেখানে শুরু হয় চিকিৎসা।
‘‘এ ভাবেই চলছিল। একদিন গিয়ে দেখি তাপসকে বেঁধে রেখেছে। ঘাবড়ে গিয়েছি ওরকম দেখে! আমায় তাপস বলল, ‘একভাবে শুয়ে আছি। একটু উঠে হাঁটতে চেয়েছি। তাই দেখো, ওরা আমাকে বেঁধে রেখেছে।’ খুব কষ্ট হচ্ছিল এ ভাবে ওকে দেখে। একজন রোগীর সঙ্গে এ কেমন ব্যবহার!’’
তাপসের স্ত্রী প্রশ্ন করায় হাসপাতাল থেকে বলা হয়, ‘আমাদের শিফটিং চলছে। এখন কোনও একজন সিস্টার ওকে নজরে রাখতে পারবে না। তাই বেঁধে রাখা হয়েছে।’
হাসপাতালটির চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে নন্দিনী বলছেন, ‘কলকাতার ডাক্তার ফোনে সমানে ওদের বলতে থাকেন, অ্যান্টিবায়োটিক বদলানোর জন্য। তাপসের ব্লাড কাউন্ট ভাল হচ্ছে। ১৭ দিন ধরে এক অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া ঠিক নয়। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি। আমি শুধু হাতে-পায়ে ধরতে বাকি রেখেছিলাম। তাপসকে ওয়ার্ডে দেওয়ার জন্য। তা হলে আমি নিজে ওর দেখাশোনা করতাম। কিন্তু, সেটাও করা হয়নি।’
এরপর হঠাৎ একদিন রাতে হাসপাতাল থেকে বলা হয়, ‘হি ইজ নট রেসপন্ডিং।’
‘আমাদের বলা হল ইন্টারনাল ব্লিডিং হচ্ছে। হিমোগ্লোবিন ৩.৯ হয়ে গেছে। সকালে দেখেছি হিমোগ্লোবিন ৯-এর এর উপরে ছিল। তার রিপোর্ট আজও পাইনি।’
‘আমি বুঝতে পারছিলাম, হিমোগ্লোবিন যার ৩.৯, যাকে রক্তও দেওয়া হয়নি, তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবেই। হলও তাই। আবার ভেন্টিলেশন। আবার অ্যাটাক। তারপর সব শেষ!’
নিজের কলামে নন্দিনী জানিয়েছেন তিনি এর জবাব চান। আর সে জন্য মুম্বাই গেছেন, ‘ওই হাসপাতালের কাছে জবাব চাইতে মুম্বাই এসেছি। এটা তো আমার অধিকার। আমি জবাব না নিয়ে ফিরব না! তাতে দূর যেতে হয় যাব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।