আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একদিন না যেতেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন চীন। মঙ্গলবার কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল চীন। বার্তা ছিল, ভারত এবং পাকিস্তানকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান করতে হবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত উল্টো অবস্থান নিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ালেন শি চিনফিং। খবর আনন্দবাজারের
বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কাশ্মীর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তাঁরা। এই ইস্যুতে বেজিং যে পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়াবে, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিনফিং।
বর্তমানে বেজিং সফরে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইতিমধ্যেই চীনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। বুধবার ছিল প্রেসিডেন্ট শিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠক। চিনের সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া নিউজের খবর, ওই বৈঠকেই শিনফিং বলেছেন, ‘‘কোনটা ঠিক কোনটা ভুল, সেটা স্পষ্ট।’’
কাশ্মীর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে এবং বেজিং ইসলামাবাদের পাশেই থাকবে— এমন আশ্বাসও শিনফিং ইমরানকে দিয়েছেন বলে জিনহুয়া নিউজ সূত্রে খবর।
আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের শত্রু এবং ভারত বিরোধী বলেই পরিচিত চীন। এ দিন সেই বার্তা আরও স্পষ্ট করে শিনফিং বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে যে পরিবর্তনই আসুক, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব কখনওই ভাঙেনি, বরং পাথরের মতো দৃঢ় থেকেছে। বেজিং-ইসলামাবাদ পারস্পারিক সহযোগিতাও সব সময়ই রয়েছে।’’
মাঝে আর এক দিন। তার পরেই দু’দিনের বেসরকারি সফরে ভারতে আসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এই সফরে চেন্নাইয়ে মোদীর সঙ্গে বৈঠকও হওয়ার কথা শিনফিংয়ের। ৩৭০ ধারা বিলোপ করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তোলার পরেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম অবনতি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলে, এমনকি জাতিসংঘেও বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে শিনফিংয়ের সফর এবং মোদীর সঙ্গে বৈঠক ঘিরে আশা বাড়ছিল দিল্লির। কিন্তু তার সফর শুরুর দু’দিন আগে চীনা প্রেসিডেন্টের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।