লাইফস্টাইল ডেস্ক : এখন গতিশীল জীবন। তবে সেই গতিময়তার মধ্যেও আমরা কেবল বসে থাকি। ছোটে আমাদের মস্তিষ্ক। ব্যস, মস্তিষ্ক ব্যবহার করেই আমরা বেশ খুশি। কোনও নড়াচড়া নেই। কেবল একজায়গায় বসে কাজ করে যাওয়া। এভাবেই চলছে দিনের পর দিন।
সকালে উঠে অফিস চলে আসা এবং তারপর সারাদিন একনাগাড়ে বসে কম্পিউটারে কাজ করে যাওয়া। তারপর সারাদিন পেরিয়ে রাতে গিয়ে বিছানায় শরীর এলিয়ে দেওয়া। আবার এখনকরা ওয়ার্ক ফ্রম হোমেও শুরু হয়েছে একই সমস্যা! তবে এভাবে একনাগাড়ে এতক্ষণ বসে থাকার বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
তাদের কথায়, এই অভ্য়াস মানুষকে বড় সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ সেই সমস্যার কথা বুঝতেই পারছেন না। আর সেই অভ্যাস থেকেই দেখা দিচ্ছে বিপদ।
কী কী সমস্যা হতে পারে?
>সারাক্ষণ একই জায়গায় বসে কাজ করে যাচ্ছেন?এই অভ্যাস থেকে আপনার শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধির নানা ক্ষতি হতে পারে। বিশেষত, পায়ের ও কোমড়ের হাড়ের বেশি সমস্যা হয়। প্রথমত, একনাগাড়ে বসে থাকলে চাপ পড়ে ঘাড় ও মেরুদণ্ডের উপর। আসলে একনাগাড়ে বসে থাকলে পুরো শরীরের ভার পড়ে মেরুদণ্ডের উপর। এই ভার সইতে সইতে মেরুদণ্ড একসময় জানান দেয়। একই সমস্যায় ভোগে ঘাড়। এছাড়া বসে থাকতে থাকলে পায়ের হাড়ের কোনও কাজ হয় না। পায়ের অস্থিসন্ধিতেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। তাই সাবধান থাকুন।
> বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে দিনের বেশিরভাগ সময় বসে কাটানো মানুষের ব্লাডপ্রেশার থাকে ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া এই মানুষগুলির কোলেস্টেরলও বেশি থাকে বলে দেখা গেছে।
> দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতাও এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই সতর্ক থাকুন।
> দেখা গেছে, বেশিক্ষণ বসে থাকা মানুষের খাওয়ার প্রবণতা থাকে বেশি। এদিকে এই মানুষগুলি শারীরিক পরিশ্রম করেন কম। ফলে ওজন বাড়া খুবই স্বাভাবিক।
> দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার থাকার অর্থ হল মাথার পরিশ্রম চলছে দ্রুত বেগে। তবে এভাবে রোজ চলতে থাকলে আপনার অবশ্যই দুশ্চিন্তা করার আবকাশ রয়েছে। কারণ এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে আপনার মস্তিষ্কের উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই সবাধান থাকুন।
সমস্যা এড়াতে চাইলে
> একজায়গায় বসে থাকবেন না। কিছুক্ষণ অন্তর উঠুন। পারলে পায়চারি করুন।
> বসে বসেই শুরু করুন ব্য়ায়াম। পায়ের স্ট্রেচিং করে নিতে পারেন।
> বসে বসে কাজ করতে হলে দিনে যখনই সময় পাবেন এক্সারসাইজ করুন।
> অফিসে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
> কোনও সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনিই আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।