রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী উক্য চিং মারমা মারা গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত ২টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে তার মৃত্যু হয়।
এ দিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মাসহ পুরো পরিবার।
উক্য চিং মারমা ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। সে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। উক্য চিং বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্য চিং মারমা এর মাসি (খালা) নেলী মারমা জানান, তার অবস্থা ভালো ছিলো না। চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় উক্য চিং স্কুল ভবনের শ্রেণিকক্ষে ছিল। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিস্ফোরণের পর ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। উক্য চিং মারমার শরীরের প্রায় শতভাগ দগ্ধ হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
মেধাবী এই শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য রাঙ্গামাটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে। তার বাবা উসাইমং মারমা রাজস্থলী উপজেলা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এক মাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় পুরো পরিবার।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টার কিছু পরে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।