আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় একসঙ্গে গণবিয়ে হলো কয়েক শত কনের। করোনা মহামারীর পর এটাই সেখানে সবচেয়ে বড় বিয়ের অনুষ্ঠান। অনলাইন ডেইলি মেইল এ খবর দিয়ে বলছে, ইস্টার সানডে উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয় ইন্টারন্যাশনাল পেন্টিকস্ট হলিনেস চার্চে। এই চার্চের দাবি, তারা এই গণবিয়ে আয়োজন করছে বাইবেল অনুযায়ী। ১৯৬২ সলে প্রতিষ্ঠিত হয় এই চার্চ। তারপর থেকে প্রতি বছর তিনবার এমন গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ইস্টার সানডে, ডিসেম্বর এবং সেপ্টেম্বরে এই বিয়ে হয়ে থাকে। বিয়ে অনুষ্ঠানের পর সরকারি এক নারী কর্মকর্তা লেবোগিলে মামাতেলা (৩৮) বলেন, আমি খুশি। তিনি একজন পুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। বিয়ের আগেই তিনি তার হবু স্বামীর সন্তানের মা হয়েছেন।
গণবিয়ের পর মামাতেলা বলেন, বাস্তবেই এই মুহূর্তটি আমার কাছে খুব আনন্দের। এই অনুভূতি অনন্য। তার নতুন স্বামীর নাম রোতো মাহলুকু (৪০)। তিনি ১৯৯৩ সালে এই চার্চে যোগ দিয়েছেন এবং এখন থেকে ১৬ বছর আগে প্রথম স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেছেন দিতোপা মাহলুকুকে। তাদের আছে তিনটি সন্তান। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে দিতোপার (৩৭) কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের মাধ্যমে আমার স্বামী ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করেছেন। ঈশ্বর তো এ জন্যই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এই চার্চটিতে নেতৃত্ব নিয়ে অনেক দিন ধরে ক্ষোভ আছে। তা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য সেখানে সবচেয়ে বড় এই গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। ২০১৬ সালে এই চার্চের নেতা গ্লেটন মোডিজ মারা যান। তারপর থেকে এর দখল নিয়ে উত্তরাধিকার দাবি করে লড়াই চলছে তিন ভাইয়ের মধ্যে। ২০২০ সালে এই চার্চে অন্য একটি জমায়েতের সময় সেখানে গুলি করা হয়। তাতে কমপক্ষে ৫ জন নিহত হন। এ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ৪২ জন। কিন্তু গত বছর আদালত এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
রোববারের গণবিয়েতে নিরাপত্তা ছিল কঠোর। প্রহরা দিয়েছেন সশস্ত্র গার্ডরা। ছিল মেটাল ডিটেক্টর। তা ব্যবহার করে গণবিয়েতে যাওয়া ব্যক্তিদের শরীর স্ক্যান করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।