জুমবাংলা ডেস্ক : একসঙ্গে ৯০০ চামড়া – সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজে’লায় কোরবানির ৯০০ পশুর চামড়া পুঁতে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজে’লার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদরাসা প্রাঙ্গণে এসব চামড়া পুঁতে ফেলা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর চামড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ঈদের দিন সোমবার সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদরাসার পক্ষে থেকে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়।
কোরবানিদাতারা মাদরাসার উন্নয়ন তহবিলে চামড়াগুলো দান করেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষে চামড়া বিক্রয়ের জন্য দিনভর অ’পেক্ষা করেও বিক্রি করতে পারেননি। ক্ষো*ভে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ওসব চামড়া মাদরাসার নিকটস্থ এলাকায় মাটিতে পুঁতে দেয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল ইস’লাম বলেন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের মাদরাসার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোনবানিদাতাদের কাছ থেকে ৯০০ চামড়া সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে গরুর চামড়া রয়েছে ৮০০ ও ছাগলের ১০০টি। কিন্তু এসব চামড়া কিনতে আসেনি কেউ। বাধ্য হয়ে চামড়াগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। চামড়াগুলো সংগ্রহে এবং চামড়ায় লবণ ব্যবহারে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে আমাদের।
লাফিয়ে উঠা সেই ক্ষিপ্ত মহিষটিকে যেভাবে উদ্ধার করা হয়
আলোচিত টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে কোরবানির জন্য প্রস্তুতের সময় লাফিয়ে উঠা সেই ক্ষিপ্ত মহিষটিকে জীবিত অবস্থায় নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রায় ২৮ ঘন্টাপর উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে পার্শ্ববর্তী ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা নামক এক বিল থেকে উদ্ধার করে ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানার পশু কর্মকর্তা নাজমুল হকের টিম, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ জনগণ।
জানা যায়, নিকলা বিলে অবস্থানরত মহিষটির শরীরে প্রায় ৭০ মিটার দূর থেকে চেতনানাশক ঔষধ নিক্ষেপ করে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় উদ্ধাররত কর্মীরা। এর আগে গতকাল সোমবার ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে মহিষটি উদ্ধারে ঢাকার এক পশু কর্মকর্তা সহযোগিতা চাওয়া হলে আজ মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানার পশু কর্মকর্তা নাজমুল হক মহিষটি উদ্ধারে আসেন।
এ ঘটনায় কর্তৃব্যরত ভুঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক শামছুল ইসলাম ও এসআই টিটু চৌধুরী জানান, ঈদ উপলক্ষে ঘাটাইলের যুগিহাটি গ্রামের আরিফুল সরকারের বাড়িতে একটি মহিষ কয়েক জন মিলে কোরবানি দেওয়ার জন্য কিনেছিলেন। কোরবানি দেওয়ার সময় হঠাৎ লাফিয়ে উঠে। পরে সেখানে থাকা একই পরিবারের ৫ জনসহ ১০/১২ জনকে আহত করে মহিষটি ভুঞাপুর উপজেলার কাগমারি পাড়ার ধান ক্ষেতে (চরায়) চলে যায়। পরে রাতে নিকলা বিলে অবস্থান করলে দুপুরে মহিষটিকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ জানান, গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদের দিন সকালে জবাহ করার সময় মহিষটি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পালিয়ে যায়। মহিষটিকে ধরার জন্য চেষ্টা করলে বেশ কয়েক জন আহত হয়। এরপর দুপুরের পর থেকে ওই মহিষটি উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলেও সেটি সম্ভব হয়নি। পরে ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে আগত পশু কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও জনগণের সহায়তায় মহিষটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
প্রসঙ্গত প্রকাশ, গতকাল (১২ আগস্ট) ঈদের দিন সকাল ১১ টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে যুগিহাটি গ্রামের আরিফুল সরকারের বাড়িতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করার সময় লাফিয়ে উঠা মহিষটি এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। সে সময়ে মহিষটিকে ধরার জন্য মানুষ এগিয়ে গেলে মহিষের গুঁতোয় বেশ ১০/১২ জন আহত হয়। পরে ঘাটাইল উপজেলার যুগিহাটি গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তী ভুঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের কাগমারি পাড়ার একটি ধানের (ক্ষেত) চরায় অবস্থান করছিল। তারপর ওই মহিষটিকে নিবৃত্ত করতে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ এক রাউন্ড গু’লি ছোড়লে এতে মহিষটি সরে গেলে গু’লি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর হাজারো উৎসুক জনতা চলে আসলে পুনরায় গু’লি করা সম্ভব হয়নি। পরে মহিষটি সারারাত পর কাগমারি থেকে নিকলা বিলে চলে আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।