একসময় রাস্তায় ছেঁড়া কাপড়-কাগজ দিয়ে বল বানিয়ে খেলা পেলের ‘আবিষ্কারক’ যিনি
স্পোর্টস ডেস্ক: পেলে শুধুই একজন ফুটবলার ছিলেন না। ফুটবল নামের খেলাটিকে বদলে দিয়েছিলেন তিনি। জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন বিশ্বজুড়ে। ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিন বার বিশ্বকাপ জেতা সেই পেলে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। কিংবদন্তি পেলের মৃত্যুতে পুরো ফুটবল দুনিয়া এখন শোকাচ্ছন্ন।
এই শোকাহত সময়ের মধ্যেই ব্রাজিল কিংবদন্তির স্বর্ণালি ক্যারিয়ার এবং বর্ণাঢ্য জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এই গবেষণাতেই উঠে এসেছে এমন একটা নাম, যিনি ‘আবিষ্কার’ করেছিলেন পেলেকে।
পেলের বয়স যখন ১৫। অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান পেলে তখন বাড়ির কাছের ধুলোর রাস্তায় ছেঁড়া কাপড়-কাগজ দিয়ে বল বানিয়ে খেলতেন। ঐ বয়সেই বিশেষ একজনের নজরে পড়েন কিশোর পেলে। তার নাম ওয়ালদেমার ডি ব্রিটো। ব্রাজিলের ১৯৩৮ বিশ্বকাপ দলের অন্যতম সদস্য। ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ঐ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। শিরোপা স্বপ্নভঙ্গের বেদনাতেই কি না, অকালেই ফুটবল থেকে অবসর নেন তিনি।
খেলা ছেড়ে নিজেকে নিয়োজিত করেন দেশের ফুটবলের উন্নয়নে প্রতিভা খোঁজার কাজে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে প্রতিভাবান তরুণদের খুঁজে বের করার প্রকল্প হাতে নেন। সেই প্রকল্পের সুবাদেই ১৯৫৬ সালে বাউরুর ধুলোর রাস্তায় এক কিশোরের স্কিল দেখে মুগ্ধ হন ব্রিটো। কাছে গিয়ে কথা বলেন। জানতে পারেন, কিশোরটির নাম এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো। তখন তার নাম ‘পেলে’ হয়নি। ব্যস সঙ্গে সঙ্গেই ১৫ বছর বয়সি কিশোরকে তিনি নিয়ে যান ব্রাজিলের বিখ্যাত সান্তোস ক্লাবে।
কিশোর পেলেকে শুধু ভর্তি করানোই নয়, সেদিন ব্রিটো সান্তোসের কর্তাদের সামনে একটা ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন, ‘দেখবেন, এই কিশোরটি একদিন বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার হবে।’ ব্রিটোর সেই ভবিষ্যদ্বাণী ফলতে সময় লাগেনি। মাত্র দুই বছর পরই ১৯৫৮ বিশ্বকাপে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন ১৭ বছর বয়সি পেলে। দেশকে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ জেতাতে করেন ৬ গোল। যার ৫টি গোলই তরুণ পেলে করেছিলেন সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে। ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হ্যাটট্রিক, সুইডেনের বিপক্ষে ফাইনালে করেন দুটি। এরপর ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ জিতে পেলে সত্যি সত্যিই বনে যান বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।