একাকিত্বে ভোগা এমন একটা সমস্যা যা আপনার হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্বাভাবিক সময় স্থূলতার ঝুঁকি না থাকলেও একাকিত্বে ভোগার দরুন স্থূলতার ঝুঁকি থাকতে পারে। করোনা মহামারির সময় বহু মানুষ একাকিত্বের সমস্যায় ভুগতে বাধ্য হয়েছেন।
একাকিত্বের মানুষের হতাশা এবং উদ্বেগ অন্যদের থেকে বেশি থাকে। তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি। একাকিত্ব মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। একাকিত্বে ভোগা ব্যক্তিরা সাধারণত বেশ বিভ্রান্তিতে থাকেন।
কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের লোক বেশি থাকলে প্রতিষ্ঠানটি তেমন সুফল ভোগ করতে পারে না। তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন এবং উৎপাদনশীলতা কমে যায়। কাজের মধ্যে সৃজনশীলতা দেখা যায় না। এক গবেষণায় দেখা যায় যে, বয়স্ক লোকদের থেকে বরং তরুণরাই একাকিত্বে ভুগে বেশি।
অনেকেই এমন আছেন যে, একাকিত্বে থাকার পরেও তা মানুষের সম্মুখে বলতে লজ্জা পান। তবে এ অনুভূতি সাময়িক। স্বজন হারানো কাছের কেউ হঠাৎ দূরে সরে গেলে অথবা অবসর নেওয়ার পর এই ধরনের অনুভূতি হয়ে থাকে।
এ সময় নিজের পছন্দের কাজে ব্যস্ত থাকাটাই যুক্তিসঙ্গত হবে। নিজের কমিউনিটির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা উচিত হবে। এতে একাকিত্ব থেকে দূরে থাকাটা সম্ভব হবে। অপরিচিত ব্যক্তিবর্গের সাথে নিচ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে পারতে হবে।
একাকিত্বের কারণ কী কী তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। কাজেই একাকিত্বের সমাধান ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে কারণসমূহ অনুসন্ধান করে তা নিয়ে কাজ করতে পারলে বেশি সুবিধা হবে। তাছাড়া একাকিত্বের অনুভূতি সাময়িক হওয়ার কারণে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলে পরবর্তী সময়ে ইতিবাচক কিছু হওয়া সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।