একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন পাক ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের পরই বিতর্কের শিরোনামে এসেছিলেন পাক ওপেনার৷ একাধিক প্রেমের সম্পর্কে নাম জড়িয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমাম-উল-হকের৷ এক ট্যুইটার ইউজারের অভিযোগের এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তা স্বীকার নিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইনজামান উল হকের ভাইপো৷ দোষ স্বীকার করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন ইমাম৷

২৫ জুলাই এক টুইটার ব্যবহারকারী বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমাম-উল-হকের চ্যাটের স্ক্রিনশট দিয়ে তাঁকে দায়ী করে জানান, পাকিস্তানের ওপেনিং ব্যাটসম্যান তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ২৩ বছরের ব্যাটসম্যান এবার নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। জানা গিয়েছে, পিসিবি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াসিম খান জানিয়েছেন,‘ইমাম অনুতপ্ত, যা ঘটেছে তার জন্য ও ক্ষমা চেয়েছে এবং নিজের ভুল স্বীকার করেছে।’

বিষয়টি ব্যক্তিগত হলেও বোর্ড অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেছে বলেও জানান ওয়াসিম খান। কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি৷ পিসিবি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরও বলেন, ‘এটা ওর ব্যক্তিগত বিষয় হলেও আমরা ওকে বলে দিয়েছি খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ নীতি ও নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে হবে। একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে আমরা পছন্দ করি না। কিন্তু আমরা আশা করি, কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়রা আরও দায়িত্ববান হবে৷ ভুললে চলবে না, ও পাকিস্তানি ক্রিকেটের একজন দূত।’

বিশ্বকাপে পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠতে না-পারেলও লিগের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লর্ডসে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমাম৷ তবে আগের ম্যাচগুলিতে প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ হন বাঁ-হাতি পাক ওপেনার৷ বিশ্বকাপ থেকে দেশের ফেরারর কিছুদিনের মধ্যেই ইমামের বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগ ওঠে৷ এক টুইটার ব্যবহারকারী বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় ইমাম-উল-হকের চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করে দেওয়ার পরেই বিতর্কে জড়ান পাক ওপেনার।

বহু মহিলার সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপেও ইমামের চ্যাট শেয়ার করে ওই ব্যবহারকারী দাবি করেন, মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ইমাম। কিছু টুইট মুছে দেওয়া হলেও,তার আগেই তা ভাইরাল হয়ে যায়৷ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যমে হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে পাক ক্রিকেটারের এই মহিলা কেলেঙ্কারি৷ জানা গিয়েছে, গত ছয় মাসে একই সঙ্গে সাত থেকে আটজন মহিলার সঙ্গে ডেটিং করেছেন ইমাম৷