জুমবাংলা ডেস্ক : বুদ্ধি ও বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে আসামি করে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা।
অভিযুক্ত বদিউল আলম মুন্সি (৫২) উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি রাজামেহার ফাজিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখায় শিক্ষক।
মামলার বিবরণে ওই প্রতিবন্ধী নারীর মা উল্লেখ করেন, বাড়িতে একা পেয়ে তার বুদ্ধি ও বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ওই শিক্ষক ধর্ষণ করেন।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জানান, আগের জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে একটি চক্র ওই মাদ্রাসাশিক্ষককে ফাঁসিয়েছে। প্রতিবন্ধী ওই নারীর মাকে এর আগেও কয়েকবার বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজে গ্রামবাসী হাতেনাতে ধরেছে। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকারের কাছে গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত লিখিত কয়েকটি অভিযোগও রয়েছে।
খবর পেয়ে রাতে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার, পুলিশ পরিদর্শক মো. মেজবাহ উদ্দিনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি বলেন, ‘বুদ্ধি ও বাক প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. বদিউল আলম মুন্সি নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জন্য পাঠানো হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।