আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সব থেকে দামি ও রাজকীয় মিষ্টি ‘স্বর্ণ ভষ্ম পাক’! শুধু দামি নয় স্বাস্থ্যকর মিষ্টি বলেও দাবি করা হয়! নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে, এ কোনো যে সে মিষ্টি নয়! যার নামেই রয়েছে ‘স্বর্ণ ভষ্ম’, সে কি দামি না হয়ে থাকতে পারে?
একদমই তাই। কারণ, এই মিষ্টির নামেই নয়, উপাদানেও মিশ্রিত রয়েছে আসল সোনার মিহি ‘ভষ্ম’। সেইসঙ্গে রয়েছে রুপার ভষ্মও।
তথ্য বলছে, ‘স্বর্ণ ভষ্ম পাক’ নামক এই মিষ্টিটি তৈরি করার সময়েই সোনা ও রুপার মসৃণ ভষ্ম ব্যবহার করা হয়! অনেকেই দাবি করেন, এই মিষ্টি নাকি ভারতের সবথেকে দামি মিষ্টি! প্রতি কেজি ‘স্বর্ণ ভষ্ম পাক’ কিনতে দাম পড়ে ৭০ হাজার টাকা!
ভারতের জয়পুরের এই মিষ্টির সঙ্গে সবার পরিচয় করানো হয়েছিল। দাবি করা হয়, এই মিষ্টিতে আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে সোনা ও রুপার গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। সেই কারণেই এটিকে ভারতের সবথেকে স্বাস্থ্যকর মিষ্টি বলেন অনেকে।
‘স্বর্ণ ভষ্ম পাক’ তৈরির কারিগরদের ব্যাখ্যা হলো, সোনা ও রুপা যখন পোড়ানো হয়, তখন এই দুটি অতি মূল্যবান ধাতুর মিহি ভষ্ম উড়তে থাকে। আয়ুর্বেদে এই ভষ্মকে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। সেই কারণেই এই দুই ধাতুর ভষ্ম ব্যবহার করে এই মিষ্টি তৈরি করা হয়।
এ ছাড়াও, এই মিষ্টি তৈরি করতে সেরা মানের আমন্ড বা কাঠবাদাম ব্যবহার করা হয়। যা আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা হয়। উল্লেখ্য, এই বিশেষ ধরনের আমন্ড শুধু যে খেতেই সুস্বাদু, তাই নয়। এটি বিশ্বের অন্যতম পুষ্টিকর বাদাম হিসাবেও গণ্য করা হয়।
সেইসঙ্গে, এই মিষ্টিতে এক রাজকীয় গন্ধ আনার জন্য সবথেকে সেরা মানের জাফরান বা কেশর ব্যবহার করা হয়। যা বিশ্বের সব থেকে দামি সুগন্ধী মশলা।
স্বর্ণ ভষ্ম পাক তৈরি করাটা কোনো শিল্পের থেকে কম কিছু নয়। সমস্ত উপাদানের মিশ্রণ ভালো করে মেশানোর পর সেগুলিকে এক-একটি ছোট মিষ্টির আকারে গড়ে নেওয়া হয়।
তারপর খুব যত্ন করে সেই মিষ্টি সাজানো হয় সোনা ও রুপোর তবক দিয়ে। তার ওপর দেওয়া হয় সুস্বাদু পাইন নাট। এই মিষ্টি কোনো সাধারণ মিষ্টির বাক্সে সরবরাহ করা হয় না। বস্তুত, এই মিষ্টি যে বাক্সে ভরে বিক্রি করা হয়, সেটি দেখতে একেবারে গয়নার বাক্সের মতো হয়!
এ ছাড়া, এই একইরকমভাবে আরও একটি মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। তাকে বলে ‘চান্দি ভষ্ম পাক’। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে ওই মিষ্টিতে মূলত রুপার ভষ্মই ব্যবহার করা হয়। এর প্রতি কেজির দাম প্রায় ৩৩ থেকে ৪৫ হাজার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।