Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home গাঁয়ের বধূ শহরে ছিনতাইকারী, এক গ্রাম থেকেই ১ হাজার নারী!
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংবাদ

গাঁয়ের বধূ শহরে ছিনতাইকারী, এক গ্রাম থেকেই ১ হাজার নারী!

Shamim RezaJune 23, 202010 Mins Read
Advertisement

বিশ্বজিৎ পাল বাবু : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে নাসিরনগরের ধরমন্ডল গ্রাম। সড়ক পথে নাসিরনগর সদর হয়ে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হয় ওই গ্রামে। আলোচনা আছে, পুলিশও এখানে আসেন ভেবেচিন্তে। সংবাদকর্মী হিসেবেও সেই চিন্তাটা মাথায়। যে কারণে জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে আসার পাশাপাশি স্থানীয় সহযোগিতা নেওয়া হয়। ধরমন্ডল ইউনিয়ন যে পাঁচটি গ্রাম নিয়ে গঠিত এর একটি ধরমন্ডল গ্রাম। প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাম। ধর ও মন্ডল গ্রামে দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির নামের ওপর ভিত্তি করেই গ্রামটির নামকরণ করা হয় বলে আলোচনা আছে। আঁকাবাকা বলভদ্র নদী ওই গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়ে মেঘনায় মিশেছে।

দেশের কোথাও নারী ছিনতাইকারী ধরা পড়লেই উঠে আসে ধরমন্ডল গ্রামের নাম। ধরা পড়াদের ঠিকানা ধরমন্ডল। ওরা গ্রামটির গৃহবধূ। তবে শহরে গিয়ে ওদের পরিচিতি ছিনতাইকারী। গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওই গ্রামের অন্তত এক শ নারী ছিনতাইকারী ধরা পড়ে।এলাকায় গিয়ে ও বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামটির প্রায় এক হাজার নারী ছিনতাইকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। একটি চক্র নারীদেরকে লাখ লাখ টাকায় চুক্তি করে ছিনতাইয়ের কাজে লাগায়।

ছিনতাইয়ের প্রধান টার্গেট নারীদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার। বিশেষ করে স্বর্নের চেইন। চুক্তি অনুযায়ি চক্রের হাতে এনে তারা এসব স্বর্ণালংকার তুলে দেয়। এ কাজে নানা কৌশলও কাজে লাগায় নারী ছিনতাইকারীরা। বিশেষ করে সঙ্গে শিশু রাখাটা হচ্ছে অন্যতম কৌশল।

সরেজমিন

বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ধরমন্ডল যাওয়া। কথা হয় এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। বেরিয়ে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে এ বিষয়ে সরাসরি কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই অনেকে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

অনেকের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা চক্রটিকে মদদ দিয়ে থাকেন। চক্রের সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি মদদদাতারাও এ কাজ থেকে আর্থিক লাভবান হন। দিনকে দিনে গ্রামটিতে নারী ছিনতাইকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তবে তাদের কেউ নিজ গ্রামে অপরাধ ঘটান না।

গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে মুর্তুজ আলীর বাড়ি। ২০১৯ সালের ৯ মে ফেনীতে ছিনতাইয়ের সময় ধরা পড়েন মুর্তুজ আলীর ছেলে রহিম মিয়ার স্ত্রী আকলিমা। বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, একপাশে একতলা টিপটপ দালান ঘর। আরেক পাশে টিনের ভাঙ্গা ঘর। টিনের ঘরটিতে মুর্তুজ আলী তার বড় ছেলেকে নিয়ে টিনের ঘরে থাকেন, যেটিতে এক সঙ্গে গরুরও বসবাস।

পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা জানালেন, আকলিমার বাড়ি হবিগঞ্জের মনতলা গ্রামে। বছর তিনেক ধরেই ওই নারীর চলাচলে পরিবর্তন আসে। বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বেশিরভাগ সময়ই এলাকার বাইরে থাকেন। নানান বিষয় নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে বনিবনা নেই। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক অপেক্ষা করেও আকলিমার স্বামী রহিম মিয়ার দেখা মিলেনি। প্রথমে ঘরের বারান্দায় ভেতর থেকে তালা দেখা গেলেও পরে বাইরে থেকে তালা দেখা যায়।

গত বছর হবিগঞ্জের ঘাটিয়া এলাকায় ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আজকির মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। তবে তাকেও বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। কথা হলে ভাই রশিদ জানান রাবেয়া অন্যত্র থাকেন। বাবার পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগও নেই বলে দাবি করেন তিনি।

গ্রামের সমস্যা, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিতে এ প্রতিবেদক এসেছেন জানালেও আগে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম ধরে খুঁজতে থাকার পরই জড়িতদের মধ্যে বাড়িতে থাকা অনেকে গা ঢাকা দেন। অনেকে আবার নিজেদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু করেন। তবে জামিনে ছাড়া পেয়ে গ্রেপ্তারকৃতরা আবারো একই কাজে নেমেছেন বলে স্থানীয়দের অনেকে জানান।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয়-সাত বছর আগে থেকেই এখানকার নারীরা ছিনতাইয়ের মতো পেশায় জাড়ায়। বছর তিনেক ধরে ছিনতাইকে পেশা হিসেবেই নিয়েছেন হাজার খানেক নারী। শুরুতে একজনের হাত ধরে আরেকজন এ পেশায় গেলেও এখন বেশিরভাগই চক্রের হাতে বন্দি। ওই চক্রটি একেকজন নারীর সঙ্গে সর্বনিম্ন এক বছরের জন্য চুক্তি। আর চুক্তি অনুযায়ী নারীদেরকে অগ্রীম টাকা দিয়ে দেয়া হয়। চুক্তিতে আবদ্ধ নারী নির্ধারিত বছরে যে পরিমাণ স্বর্ণালংকার ছিনতাই করতে পারবেন সেটা দিতে চুক্তিকারীকে দিয়ে দেবেন।

মূলত তারা দলবেঁধে এ কাজে নামেন। দেশের বিভিন্নস্থানে হোটেলে অবস্থান করে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করেন। তাদের প্রধান টার্গেট চলার পথের নারীরা। ছিনতাইয়ে ধরা পড়লে মানুষের সহানুভুতি পেতে কখনো কখনো তারা অন্যের সন্তানকেও ভাড়া করে নিয়ে আসেন।

ধরমন্ডল গ্রামের সড়ক বাজার সুপার মার্কেটের সামনে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, ‘আমার এক নিকটাত্মীয় ছিনতাই পেশায় জড়িত। ওই নারী গত দুই-তিন বছর ধরেই বেশিরভাগ সময় এলাকার বাইরে থাকেন। একবার ধরা পড়লেও মাস খানেকের মধ্যে ছাড়া পেয়ে আবার এ পেশায় নামেন। আর্থিকভাবে উন্নতি হওয়ায় স্বামীকে এখন আর কিছু করতে হয় না।’

ওই যুবকের অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এর মদদ দেন। এক জনপ্রতিনিধির ভাই, সাবেক এক মেম্বার, একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধির আশেপাশে থাকা একাধিক ব্যক্তি মূলত তাদের পেছনের শক্তি হিসেবে কাজ করে। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে কথা বলার লোকও নেই।

মোবাইল ফোন কথা হলে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য (মেম্বার) জানান, তার ছেলে বৌও এ ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়েছিল। অন্যান্য নারীদের সঙ্গে দলবেঁধে ঢাকায় গিয়ে ছিনতাই কাজ করত। গ্রামেরই আরেক নারীর মাধ্যমে সে এ কাজের জড়ায়। তবে তিনি মেম্বার হওয়ার পর অনেক বুঝিয়ে এ পেশা থেকে ফিরিয়ে এসেছেন।

আলোচনা করতে গিয়ে নাসিরনগরের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ধরমন্ডল গ্রামের শত শত নারী ছিনতাই পেশার সঙ্গে জড়িত। এখানকার অনেক পুরুষ চুরিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। গ্রামটিতে মামলা-মোকাদ্দমাও প্রচুর। বেশ কিছু খুন খারাবির ঘটনাও ঘটেছে বছর দশেকের মধ্যে। পুলিশ সেখানে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে যায়। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় এক পুলিশ হামলার শিকার হয়। এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেছে এ গ্রামের মানুষ।’

কিছু ঘটনা

২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। রাজশাহীতে ধরা পড়েন ধরমন্ডল গ্রামের কোকন মিয়ার স্ত্রী সোলেমা খাতুন (২৫), নাসির মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (২২), মনির মিয়ার স্ত্রী রিনা খাতুন (২০), এহিয়ার স্ত্রী রিফুজা খাতুন (২০) ও কামরুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম (২৬)।

রাজপাড়া থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে রাজশাহী মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার জাহান উল্লেখ করেছেন, তিনি প্রতিদিনের মতো নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় নগরীর হড়গ্রাম বাজারের দিগন্তপ্রসারি ক্লাবের মোড়ে আসেন। সেখান থেকে তিনি একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠতে দেখে অপেক্ষমান আরো পাঁচজন নারী যাত্রীও ওই রিকশায় ওঠেন। তখন তিনি এত যাত্রীর সঙ্গে যেতে আপত্তি করেন। এ অবস্থায় ওই নারীরা কেউ তাকে আন্টি কেউ তাকে দাদী সম্বোধন করে বলতে থাকেন, ‘চলেন এইটুকু রাস্তা একসঙ্গেই যাই।’ তারপর তিনি সম্মত হন।

রিকশাটি ক্লাবের মোড় থেকে প্রায় ১০০ গজ দক্ষিণে উকিলবারের মেইন গেটের সামনে যেতেই এই পাঁচ নারীর মধ্যে তাঁর পাশে বসা একজন নারী তার পিঠের দিকে হাত দেন। তিনি প্রথমে মনে করেছেন চাপাচাপি করে বসার কারণে এমনটি হচ্ছে। পরপর তিনবার হাত দেওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন এই নারীটি তার গলার চেইন খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে থাকেন। রিকশা থামাতে বলেন।

এ সময় তিনি মেয়েটির হাতের ওপর ছাতা দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এরই মধ্যে পাঁচ নারী তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে বলেন, কাকে কী বলছেন, তাঁরা এই ধরনের মানুষ না। চিৎকার করার সময় তাদের একজন তাঁর গলা চেপে ধরেন। একজন চাকু বের করেন। রিকশা থামার সঙ্গে সঙ্গে তারা নেমে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে টহলরত পুলিশ ওই নারীদেরকে আটক করেন।

ধরমন্ডল গ্রামের এলিম মিয়ার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী দিলারা বেগম মৌলভীবাজারের পাখিয়ালা উদ্ভব ঠাকুরের মন্দিরে কীর্তন চলাকালীন হিন্দু সেজে স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বরের এ ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়। ২০১৭ সালের ১ আগস্ট মামলার রায়ে দুজনকেই তিন মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ের আরো এক মাসের জেল দেন আদালত।

নোয়াখালীর কম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রোগীর চেইন চুরি করতে গিয়ে ধরমন্ডল গ্রামের সুলতানা খাতুন (৩০), চম্পা খাতুন (১৪) সহ তিন নারী ধরা পড়েন। ছিনতাইয়ের শিকার হালিমা খাতুন পুলিশকে জানান, সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য তিনি টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়ান। দীর্ঘ সারির লাইনে সামনে ও পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা অপরিচিত চার নারী তাঁর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ভান করে। এক পর্যায়ে একজন একজন গলার চেইন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন তাদেরকে আটক করে পুলিশ তুলে দেয়।

বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়েছে যারা

সাত-আট বছর ধরেই ধরমন্ডল গ্রামের নারীরা এ পেশায় জড়িত। তবে গত তিন-চার বছর ধরে এ পেশায় জড়িত নারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ওই সময়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে অর্ধ শতাধিক নারী। অনেকের সাজাও হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল শরীয়তপুরের সদর উপজেলার কাশিপুরে জুনায়েদ শিকদারের স্ত্রী পারভীন, বাচন মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না, খালেক মিয়ার স্ত্রী আশা, জমির আলীর স্ত্রী রিয়া আক্তার, রমিজ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার, একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের মাধবপুর বাসস্ট্যান্ডে সালেক মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম, শফিক মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, সোলাইমান হোসেনের স্ত্রী বানেছা বেগম, মাসুদ মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী বেগম, খলিল মিয়ার স্ত্রী চান বানু, সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী জোৎস্না বেগম, মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী লিল সার, মজনু মিয়ার স্ত্রী হামিদা বেগম, ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকায় হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রোজিনা, জহির হোসেনের স্ত্রী নারগিছ, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী গুলনাহার, ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে কোকন মিয়ার স্ত্রী সোলেমা খাতুন, নাসির মিয়ার স্ত্রী লাভলী, মনির মিয়ার স্ত্রী রীমা খাতুন, এহিয়ার রিফুজা খাতুন, কামরুলের স্ত্রী শামসুন্নাহার, ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি নোয়াখালীর কম্পানিগঞ্জে সুলতানা খাতুন, চম্পা খাতুন, একই বছরের ২১ জানুয়ারি ফেনীর ফুলগাজীতে মহোৎসবে তাসলিমা আক্তার, ১৮ মার্চ চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জে মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী রুবিনা, হানিফের স্ত্রী খায়রুন, জুয়েলের স্ত্রী হাফিজা, ২০১৮ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম ও সীতাকুন্ডে রাহেলা, আফিয়া, ফুলতারা, সাহার বানু, সুলতানা, নাজমা, মরিয়ম, ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের কতোয়ালীতে সবুর মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম, ২ জানুয়ারি আশুলিয়ায় ফুলচান, জুলেহা, হানু, তাসলিমা, আফুজা, শারমীন, শামছুন্নাহার, ২০১৯ সালে হবিগঞ্জের ঘাটিয়া এলাকায় আজকির মিয়ার স্ত্রী রাবিয়া, কামাল মিয়ার স্ত্রী দিলারা, জিতু মিয়ার মেয়ে লাইজু, ওই বছরের ২০ জানুয়ারি সাভারে খায়রুন, কমলা, মিতু, ফরিদা, বানেছা, জামেলা, মারুফা, ১৯ মে ফেনীর কসকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আজিজুর রহমানের স্ত্রী পারভীন, রহিম মিয়ার স্ত্রী আকলিমা, আব্দুল মালেকের স্ত্রী শারমীন, এমরান হোসেনের স্ত্রী মমতাজ, নোমানের স্ত্রী রোজিনা, ২২ আগস্ট আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে তাহের মিয়ার স্ত্রী আমেনা, মতিন মিয়ার স্ত্রী বিলকিস, খলিল মিয়ার স্ত্রী চানবানু, ২০ জানুয়ারি ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল গাজীপুরের শিববাড়ি মোড়ে আব্দুস সাত্তার মন্ডলের স্ত্রী নাজমা স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ গ্রেপ্তার হন। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ধরমন্ডল গ্রামে। এছাড়া ২০১৬ সালে ২৮ জুন পকেট মারতে গিয়ে জাহানারা, সাফিয়া, রাবেয়া, রুনা আবেদা, আফুজা নামে ছয় নারী আটক হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর বক্তব্য

স্থানীয় এক নারী জানান, তার পাশের বাড়ির এক নারী এ ধরণের কাজে জড়িত। গ্রামে আরো অনেকেই আছেন যারা ছিনতাইকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে মানুষের কাছে গ্রামের নাম বলতেই লজ্জা লাগে এখন। ধরমন্ডল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. মজলিশ মিয়া বলেন, ‘এলাকার কিছু নারী সারা দেশেই এ ধরনের ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ আমাদেরকে প্রায়ই ফোন করে বিভিন্ন জায়গায় আটক নারীদের বিষয়ে তথ্য চায়। তবে প্রায়ই দেখা যায় আটকের সময় দেয়া তথ্য ভুল।’ ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. লিলু মিয়া বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে এ ধরনের নারীর সংখ্যা খুব কম। অন্যান্য এলাকাতেও যেটা ছিল সেটা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। এ বিষয়ে পুলিশের তৎপরতাও বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।’

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বাহার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মহিলারা যে বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে আমরাও শুনি। তবে আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নাই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কয়েকজনকে ধরে থানায় দিয়েছি।’ নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘কোথাও চেইন চুরির ঘটনা ধরা পড়লেই শুনা যায় এরা ধরমন্ডলের মহিলা। বিভিন্ন সময়ে ওয়ারেন্ট এলে আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করি। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার পূর্বের কর্মস্থলে থাকার সময়ও ধরমন্ডলের নারী ছিনতাইকারিরা ধরা পড়ে। যতটুকু জানতে পেরেছি তারা একটি চক্রের হয়ে কাজ করে। চক্রটি তাদেরকে চুক্তিভিত্তিক অর্থ পরিশোধ করে কাজে লাগায়। দলবদ্ধ থেকে বিভিন্ন কৌশলে তারা ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো ঘটায়। যাতায়াত ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় আগে ধরমন্ডলে পুলিশ গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া একটু কঠিন ছিল। কিন্তু এখন এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে। আশা করি কিছু পদক্ষেপ নিয়ে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।’ সূত্র: কালের কন্ঠ।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
বিএনপির প্রার্থী

চট্টগ্রামে তিনটি আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন

December 27, 2025
সাবেক শিবির নেতা

লালমনিরহাট সীমান্তে দেশীয় অস্ত্রসহ সাবেক শিবির নেতা আটক

December 27, 2025
BGB

১৫ বিজিবি’র অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা, কাপড় ও মাদকদ্রব্য জব্দ

December 27, 2025
Latest News
বিএনপির প্রার্থী

চট্টগ্রামে তিনটি আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন

সাবেক শিবির নেতা

লালমনিরহাট সীমান্তে দেশীয় অস্ত্রসহ সাবেক শিবির নেতা আটক

BGB

১৫ বিজিবি’র অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা, কাপড় ও মাদকদ্রব্য জব্দ

Manikganj

আরিচা বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজার বয়া গুদামে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

ভোলা

ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

Jahaj

সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজে আগুন, কী ঘটেছিল

Bandarban

বান্দরবানে ১১ লাখ জাল টাকাসহ গ্রেফতার ৩

BD

বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে পুশব্যাক

Mouchak

মৌচাষে বদলে গেছে মুয়াজ্জিনের জীবন, মাসে লাখ টাকা আয়

Jessore

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.