জুমবাংলা ডেস্ক : পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যার বাবা-মা নাজমুল হোসেন ও হাবিবা বেগম দম্পতি। গর্ভে সন্তান আশায় সৃষ্টিকর্তার কাছে চাওয়া ছিল একটাই যেন এবার কোলজুড়ে আসে ছেলে। শ্রষ্ঠা তাদের ফরিয়াদ শুনেছেন। হাবিবা বেগমের কোলজুড়ে এসেছে জমজ দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সবমিলিয়ে ছেলে মেয়ে এখন তাদের দ্বিগুন।
গত ১১ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে অস্ত্রপচারে এই তিন জমজ সন্তানের জন্ম দেন হাবিবা। শারীরিক জটিলতার কারণে আটমাসেই সন্তান প্রসব করান চিকিৎসক।
এরপরই নবজাতবকে নেয়া হয় রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড- ২৪ নম্বরে। টানা চিকিৎসা শেষে এখন অনেকটাই সুস্থ নবজাতকেরা।
নবজাতকের বাবা নাজমুল ইসলাম রাজশাহীর কর্ণহার থানার বাকশিমইল এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশে কর্মরত।
তিনি জানিয়েছেন, হাবিবা বেগমের সঙ্গে তার সাত বছরের সংসার। তাদের নাবিহা নামের ৫ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের চাওয়া ছিল ছেলে সন্তান। তার স্ত্রী একসঙ্গে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের চাওয়া দ্বিগুন করে পূরণ করেছেন। এনিয়ে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।
নাজমুল বলেন, জন্মের পর নবজাতদের গড় ওজন ছিলো ১ দশমিক ৮ কেজি। আট মাসেই তাদের ভূমিষ্ট করেন চিকিৎসক। এরপর থেকেই তাদের নীবিড় চিকিৎসা চলছিল। এখন তারা অনেকটাই সুস্থ। আজকালের মধ্যে তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হতে পারে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. লিমা জানান, এমন অপরিণত নবজাতকের ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ শতাংশ মারা যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে না পেরে। কিন্তু এই তিন নবজাতক টানা চিকিৎসায় সুস্থ আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।