আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেন কর্মীদের প্রতিস্থাপিত করতে না পারে সেজন্য পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন সুপারিশপগুলোয় সেল্ফ-স্ক্যানিং পরিষেবা গড়ে উঠেছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যমান চাকরির এক-তৃতীয়াংশ প্রতিস্থাপিত করা যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। অর্থনীতির এ রূপান্তর সবার জন্য আনন্দদায়ক হবে না। অনেকের জন্যই তা হবে যন্ত্রণাদায়ক।
গত এপ্রিলে ব্রিটিশ বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ দুটি জরিপ প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, এক-তৃতীয়াংশ মার্কিন কর্মী এআই নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, এআই তাদের কর্মঘণ্টা বা বেতন কমিয়ে দেবে; এমনকি চাকরিও হারাতে পারেন তারা। ৩৬ শতাংশ বলেছেন, এআই তাদের অবস্থান নিয়ে নেবে ভেবে তারা শঙ্কিত। অন্যদিকে ৪৩ শতাংশ মনে করেন প্রযুক্তি পুরো শিল্পে কর্মসংস্থান কমিয়ে দেবে।
আইএমএফের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত অর্থনীতিতে প্রায় ৬০ শতাংশ চাকরি এআই ব্যবহারের কাছাকাছি এসেছে। এসব চাকরির অর্ধেক নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারে। এআই সৃষ্ট অর্থনৈতিক অভিঘাত প্রশমিত করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিত সুনির্দিষ্ট আর্থিক নীতি গ্রহণ করা। নীতিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত মুনাফা ও কার্বন নিঃসরণের ওপর করারোপ অন্যতম।
এআই সিস্টেম পরিচালনায় ব্যবহৃত কম্পিউটার সার্ভার পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। চাকরির ওপর এআইয়ের প্রভাব প্রশমনের ক্ষেত্রে বিষয়টি সামনে আনা যায়। তাই এসব সার্ভারের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত প্রভাবের জন্য কার্বন শুল্ক প্রয়োগ করা উচিত। এতে শুধু দুর্বলদের রক্ষা ও সামাজিক সংহতি নিশ্চিত হবে না; বরং এআই উপস্থাপিত সুযোগগুলো সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার হবে। নতুন ধরনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মীদের পরিবর্তিত পরিবেশ ও চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।