আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে ‘জি সেভেন’ বা ‘গ্রুপ অফ সেভেন’ সম্মেলন৷ কী হচ্ছে সেখানে, দেখুন ছবিঘরে…বাছাই সাত যারা…
‘গ্রুপ অফ সেভেন’ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সাতটি গণতন্ত্রের সমাহার৷ যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইটালি, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স ও ক্যানাডার নেতৃত্ব প্রতি বছর এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিশ্বের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন৷
গোলটেবিলে যারা…
প্রতি বছর জি সেভেন সম্মেলনে যোগ দেন সাতটি দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এবছর সম্মেলনের গোলটেবিল বৈঠকে রয়েছেন ফ্রান্সের এমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মানির আঙ্গেলা ম্যার্কেল, অ্যামেরিকার ডনাল্ড ট্রাম্প, জাপানের শিনজো আবে, ক্যানাডার জাস্টিন ট্রুডো, যুক্তরাজ্যের বরিস জনসন ও ইটালির পাওলো জেনটিলোনি৷
আলোচনার বিষয় কী?
এবারের জি সেভেন সম্মেলনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আমাজন৷ আগুন লাগার পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে পূরণ করা যায়, এবং বিশ্বে বাড়ন্ত কার্বন ফুটপ্রিন্ট রোধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছান নেতারা৷ এছাড়াও, সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুরুর মুহূর্ত থেকেই অংশগ্রহণকারী দেশগুলি জোর দেয় জেন্ডার ইকুয়ালিটি বা লৈঙ্গিক সাম্যের ওপর৷ পাশাপাশি, একাধিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উঠে আসছে সামরিকীকরণ, বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়৷
আমন্ত্রিত যারা
বাছাই সাতটি দেশ ছাড়াও প্রতি বছর জি সেভেনে অংশগ্রহণ করে আমন্ত্রিত কয়েকটি দেশ৷ এবছর সেই আমন্ত্রণে এসেছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, রুয়ান্ডা ও চিলে৷
এবারের চমক
সবাইকে চমকে দিয়ে বিয়ারিটজে এসেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ৷ মাত্র পাঁচ ঘন্টার যাত্রায় জারিফ মাক্রোঁর সাথে একটি আলাদা বৈঠকে বসেন৷ বৈঠকে আলোচ্য বিষয় ছিল পারমাণবিক সামরিকীকরণ৷ কিন্তু এমানুয়েল মাক্রোঁর জারিফকে আমন্ত্রণ জানানোর কাজটি গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে৷
জি সেভেনে মোদী
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর ব্যক্তিগত আমন্ত্রণ পেয়ে বিয়ারিটজে এসে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সম্মেলনের পাশাপাশি অ্যামেরিকা, জার্মানি ও চিলের নেতৃত্বের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও সম্মেলনের মূল অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও ডিজিটাল উন্নয়ন নিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন তিনি৷ এর মধ্যে, ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে উঠতে পারে কাশ্মীরের ইস্যুও৷
