এক বছর ধরে চলতে থাকা স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যু

জুমবাংলা ডেস্ক: কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নে এক বছর ধরে স্বামীর নির্যাতনে মুন্নী বেগম (২০) নামক এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় গৃহবধূকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

বুধবার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী ইয়াইদ আলী (২৫) পলাতক রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, জয়চণ্ডী ইউনিয়নের দানাপুর গ্রামের মৃত শফত আলীর ছেলে ইয়াইদ আলীর সঙ্গে এক বছর আগে একই এলাকার মুন্নী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মুন্নীকে নির্যাতন করতেন স্বামী ইয়াইদ আলী। মুন্নী নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রায়ই পিতার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে স্বামীকে দিতেন। দেড় মাস আগে তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।

গত সোমবার টাকার জন্য স্ত্রীকে মারধর করেন স্বামী ইয়াইদ আলী। এতে গৃহবধূ মুন্নী অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় মুন্নীকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন তার ভাইয়েরা। মুন্নীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে মুন্নীর মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর ও কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসানসহ পুলিশ গৃহবধূর পিতার বাড়িতে যান এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

মুন্নীর ভাই মঈন উদ্দিন ও জসীম উদ্দিন অভিযোগ করেন, ইয়াইদ সম্পর্কে তাদের ফুফাতো ভাই। তিনি কোনো কাজকর্ম করেন না। বিয়ের পর থেকে মুন্নীকে টাকার জন্য মারধর করতেন। দুই দিন আগে তিনি মুন্নীকে মারধর করলে মুন্নী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় মুন্নীকে তার স্বামী ইয়াইদসহ আমরা কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক মুন্নীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলার পর ইয়াইদ পালিয়ে যায়।

কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর জানান, নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।